নিজস্ব প্রতিনিধি, মুম্বই: নতুন বছরের প্রথম দিনে কোনও ক্রমে পতনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল শেয়ারবাজার। কিন্তু দ্বিতীয় দিনে পতন রুখতে পারল না। একদিনে সেনসেক্স পড়ল ৩৭৯ সূচক। আর নিফটি খোয়াল ৭৬ পয়েন্ট। মঙ্গলবার পতনের ফলে ফের ৭২ হাজারের গণ্ডি থেকে ৭১ হাজারের গণ্ডিতে নেমে এল সেনসেক্স। ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি ছাড়া বাকি অন্য ক্ষেত্রের সংস্থাগুলি শেয়ার দরে পতন ঘটেছে।
গত কয়েকদিন ধরে দেশে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। গত এক সপ্তাহে আগের সপ্তাহের তুলনায় সংক্রমণ ২২ শতাংশ বেড়েছে। আর করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার প্রভাব শেয়ারবাজারেও পড়েছে। আগের দিনের তুলনায় সামান্য বাড়তি পয়েন্ট নিয়ে সবুজ জোনে থেকেই এদিন লেনদেন শুরু করেছিল সেনসেক্স ও নিফটি। কিন্তু বাজার শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই হুড়মুড়িয়ে নিচের দিকে নামতে থাকে। ঘণ্টা দেড়েকের মধ্যেই প্রায় ৭০০ সূচক হারায় সেনসেক্স। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিনিয়োগকারীরা। তবে দুপুরের পরে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করে। এর পরে উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়েই বাকি সময়টা কাটায় সেনসেক্স ও নিফটি। শেষ পর্যন্ত বাজার বন্ধের সময়ে ৩৭৯.৪৬ সূচক খুঁইয়ে ৭১,৮৯২.৪৮ পয়েন্ট নিয়ে বন্ধ হয় সেনসেক্স। এদিন বাজারে সেনসেক্সের সর্বোচ্চ সূচক ছিল ৭২,৩৩২.৮৫ পয়েন্ট। আর সর্বনিম্ন সূচক ছিল ৭১,৬১৩.৭৪ পয়েন্ট। নিফটি বন্ধ হয়েছে ২১, ৬৬৫.৮০ সূচকে।
বিএসইর শীর্ষ ৩০ সংস্থার মধ্যে শুধুমাত্র আটটি সংস্থার শেয়ার দর বৃদ্ধি পেয়েছে। বাকি ২২টি সংস্থাই লোকসানের মুখ দেখেছে। সান ফার্মা, বাজাজ ফিনান্স, ভারতী এয়ারটেল, রিলায়েন্স, বাজাজ ফিনসার্ব, টাইটান, আইটিসি, পাওয়ার গ্রিডের শেয়ার মূল্য বেড়েছে।