নিজস্ব প্রতিনিধি: রেলের কনফার্মড টিকিট যদি ক্যানসেল করতে হয় তবে রেল ওই টিকিটের একটা অংশ কেটে বাকি টাকা ফেরত দেয়। এটাই নিয়ম। কিন্তু বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় টিকিটের মূল দামের কখনও বেশি কখনও কম অর্থ কেটেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এটা কেন হয় সেটা নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে ধোঁয়াশা রয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এক্ষেত্রে রেলের নিয়ম কী বলছে।
আজকাল বাড়িতে বসেই মোবাইল অ্যাপ বা ইন্টারনেটে অনেকে দূরপাল্লার ট্রেনের টিকিট কেটে নিচ্ছেন। আবার কোনও কারণে যেতে না পারলে সেই টিকিট বাড়ি বসেই বাতিল করছেন। কিন্তু অনেকেরই ধারণা নেই এর জন্য কত টাকা কাটল রেল। এক্ষেত্রে রেলের নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। যেমন একেকটি শ্রেণীর জন্য একেক রকমের চার্জ কেটে নেওয়া হয়। অর্থাৎ, স্লিপার, এসি টু বা থ্রি টায়ার ও প্রথম শ্রেণীর টিকিটের জন্য আলাদা আলাদা চার্জ কাটা হয়। তবে সেটা নির্ভর করছে কখন টিকিট ক্যানসেল করা হচ্ছে তার উপর। অর্থাৎ চার্ট তৈরি হওয়ার কত আগে আপনি টিকিট ক্যানসেল করছেন সেটা দেখা হয়।
ট্রেন ছাড়ার কিছু সময় আগে তৈরি হয়ে যায় চার্ট। আপনি যদি ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘণ্টা আগে আপনার টিকিট ক্যানসেল করেন তবে প্রথম শ্রেণীর (1A) জন্য ২৪০ টাকা, এসি টু টায়ারের (2A) জন্য ২০০ টাকা, এসি থ্রি টায়ারের (3A) জন্য ১৮০ টাকা, স্লিপার ক্লাসের (SL) ক্ষেত্রে ১২০ টাকা ও সেকেন্ড ক্লাসের (2S) ক্ষেত্রে ৬০ টাকা চার্জ কাটা হয়। তবে আপনি যদি ট্রেন ছাড়ার ৪৮ থেকে ১২ ঘণ্টা আগে টিকিট ক্যানসেল করেন, তবে আপনার মূল ভাড়ার ২৫ শতাংশ এবং এর সঙ্গে জিএসটি কেটে নেওয়া হবে। আবার ট্রেন ছাড়ার ১২ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে টিকিট ক্যানসেল করেন তবে মূল ভাড়ার অর্ধেক বা ৫০ শতাংশ এবং জিএসটি কেটে নেওয়া হবে। আরেকটা কথা যদি আপনার অনলাইন টিডিআর জমা না দেওয়া থাকে তবে আপনি ট্রেন ছাড়ার ৪ ঘণ্টা আগে টিকিট ক্যানসেল করলে কোনও টাকা ফেরত পাবেন না।