নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) জেলার বিখ্যাত শৈব তীর্থকেন্দ্র জল্পেশ মন্দিরের(Jalpesh Mandir) গর্ভগৃহে পূণ্যার্থীদের ঢোকা নিষিদ্ধ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ(Jalpaiguri Circuit Bench)। শুক্রবার এক মামলার রায়ে জেলা প্রশাসনকে এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ। তবে এই রায় চিরকালীন নয়। আপাতত শুধু শ্রাবণ মাসে যে কটি দিন বাকি আছে ততদিনের জন্য এই অস্থায়ী ব্যবস্থার বির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি যা মন্দির কমিটি থেকে পূণ্যার্থীদেরও মানতে হবে। আদালতের রায় ঠিক ভাবে মানা হচ্ছে কিনা তা দেখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ি জকেলা প্রশাসনকে। কার্যত তারকেশ্বর মন্দিরের ব্যবস্থা অনুসরণ করেই এই রায় প্রদান করা হয়েছে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা।
কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে মামলা দায়ের করেছিলেন এক পূণ্যার্থী যিনি নিজে চলতি শ্রাবণ মাসে ওই মন্দিরে গিয়েছিলেন শিবের মাথায় জল ঢালতে। কিন্তু প্রচন্ড ভিড়ের চাপে ও গরমে তিনি গর্ভগৃহের ভিতরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই অবস্থা যাতে আর না হয় তার বিহিত চেয়েই তিনি আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার শুনানিতে আদালত আবার মন্দির কমিটির সম্পাদক এবং জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিদের তলব করে। তাঁদের উপস্থিতিতেই মামলার শুনানি হয়। শুনানি শেষে বিচারপতি জানিয়ে দেন, শ্রাবন মাসের আগামী দুই রবিবার ও সোমবার জল্পেশ মন্দিরের গর্ভগৃহে পূণ্যার্থীরা ঢুকতে পারবেন না। বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে জল ঢালার ব্যবস্থা করতে হবে। জল ঢালতে হবে মন্দিরের বাইরে থেকে। মন্দিরের বাইরে তিনটি জায়গায় জল ঢালতে হবে, সেই জল চ্যানেলের মাধ্যমে গর্ভগৃহে পৌঁছবে। পাশাপাশি ওই দুই বিশেষ দিনে মন্দির কমিটি কোনও টিকিট বিক্রি করতে পারবে না।
এদিন আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়ে জল্পেশ মন্দির কমিটির সম্পাদক গিরিন্দ্রনাথ দেব জানিয়েছেন, ‘শ্রাবন মাসের আগামী দুই রবিবার ও সোমবারের জন্য এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। পূণ্যার্থীরা রবিবার রাত ২টো থেকে সোমবার বিকেল ৪টের মধ্যে মন্দিরে এসে জল ঢালতে পারবেন। কিন্তু মন্দিরের ভিতরে প্রবেশ করতে পারবে্ন না। মন্দির চালাতে বিভিন্ন খাত মিলিয়ে বছরে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা খরচ হয়। পূণ্যার্থীরা যে টিকিট কেটে মন্দিরে ঢোকেন তা দিয়ে এই খরচের একটা বড় অংশ ওঠে। আদালতের রায়ে এখন তা ধাক্কা খাবে।’