নিজস্ব প্রতিনিধি: স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি’র মাধ্যমে রাজ্যের সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলগুলিতে শিক্ষক-শিক্ষিকার নিয়োগ দুর্নীতিতে মিডলম্যান হিসাবে উঠে এসেছে প্রসন্ন রায়ের(Prasanna Roy) নাম। ইতিমধ্যেই তিনি শুধু যে গ্রেফতার হয়েছেন তাই নয়, তার প্রচুর সম্পত্তিও উদ্ধার হয়েছে। সেই সব সম্পত্তির উৎস কী সে সবের এখন অনুসন্ধান করছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। ওই সব সম্পত্তির মধ্যে বেশ কিছু সম্পত্তি রয়েছে উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি(Jalpaiguri) জেলার গরুমারা(Gorumara) জাতীয় উদ্যানের প্রবেশদ্বার হিসাবে চিহ্নিত লাটাগুড়ি(Lataguri) অয়া শেপাশের এলাকায়। ওই সব সম্পত্তি মূলত রিসর্ট। তার মধ্যেই একটি রিসর্ট হল হেভেন ভিউ ইন(Heaven View Inn)। সেই রিসর্ট দেখতেই এখন নিত্যদিন ভিড় করছেন আমজনতা। এখন বন্ধ রয়েছে গরুমারা অভয়ারণ্য। তাই পর্যটকদের ভিড় নেই। কিন্তু লাটাগুড়ির এই রিসর্ট এখন আমজনতার ভিড় টেনে আনছে।
ডুয়ার্সের লাটাগুড়িতে গরুমারা জাতীয় উদ্যান লাগোয়া কয়েক বিঘে জমির ওপর রয়েছে হেভেন ভিউ ইন রিসর্টটি যার মালিক প্রসন্ন রায়। প্রসন্ন রায় গ্রেফতার হবার পর মুছে দেওয়া হয়েছে রিসর্টের সাইনবোর্ডে থাকা ফোন নম্বর। কিন্তু এলাকার অনেকেই জানেন এই রিসর্টে মাঝে মধ্যেই আসতেন প্রসন্ন। তবে শুধু এটিই নয়, লাটাগুড়ি ও জলদাপাড়ায় প্রসন্নের একাধিক রিসর্ট রয়েছেন বলে এলাকার অনেক ব্যবসায়ীই দাবি করেছেন। পাশাপাশি দেশের অনান্য জায়গাতেও প্রসন্নের এই ধরনের রিসর্ট থাকার কথা জানিয়েছেন কেউ কেউ। এমনকি প্রসন্নের হাতে নাকি বেশ কিছু ছোট চা-বাগানের মালিকানাও রয়েছে বলে কেউ কেউ দাবি করেছেন। যদিও এসবের বিষয়ে সিবিআইয়ের তরফে সরকারি ভাবে কিছুই জানানো হয়নি। তবে প্রসন্ন গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে হেভেন ভিউ ইন রিসর্টটি। হাতে গোনা দু একজন কর্মচারী ছাড়া রিসর্টে এখন আর কেউ নেই। যে কর্মীরা এখনও রয়েছেন তারা জানিয়েছেন মালিককে তারা কেউ দেখেননি। এর বেশি কেউ ভয়ে মুখ খুলতে চাইছে না। কার্যত জনমানবহীন অবস্থায় রয়েছে বিশাল এই রিসর্টটি।
তবে রিসর্ট কর্মীরা মুখ না খুললেও রিসর্ট সম্পর্কে জানিয়েছেন প্রতিবেশী এক রিসর্টের মালিক কল্পনা মুখার্জী। তাঁর দাবি, তাঁরা এই এলাকায় ২০০০ সালে জমি কিনে রিসর্ট বানানো শুরু করেন। এরপর ২০০৭ সাল থেকে তাঁরা রিসর্টটি চালু করেন। তারা কখনও এখানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আসতে দেখেননি। তবে প্রসন্ন রায় এখানে মাঝেমধ্যে আসত তা তারা শুনেছেন। যদিও ওই রিসর্টটি তিনবার হাত বদল হয়ে শেষে প্রসন্ন রায়ের হাতে গেছে। এই রিসর্ট ছাড়াও মূর্তিতে প্রসন্নের আরও রিসর্ট আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।