নিজস্ব প্রতিনিধি, খড়দা: ২০১১ সাল থেকে রাজ্যের ক্ষমতায় আছে তৃণমূল। তবে এবারই প্রথম ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়েছে দল। যা সর্বকালীন রেকর্ড। শুধু তাই নয়, বিজেপির মতো দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলকে বিপুল ব্যবধানে হারিয়েছে। আর এখানেই তৃণমূল আগের চেয়ে অনেকটাই আলাদা বলে দাবি করলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন গোসাবার পর খড়দা প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের হয়ে প্রচারে গিয়ে তিনি দাবি করেন, ‘শুধু বাংলা নয় আগামী একবছরের মধ্যে দেশের প্রায় ১৫টি রাজ্যে তৃণমূল শক্তিশালী সংগঠন তৈরি করবে। আর ২০২৪ সালে বিজেপিকে দিল্লি ছাড়া করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’
কংগ্রেস কিংবা সিপিএম নয়, বিজেপিকে আটকাতে পারে একমাত্র তৃণমূলই। সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিয়েছেন। বিজেপি ২০০-এর বেশি আসন নিয়ে রাজ্যে সরকার গড়বে বলেছিল, কিন্তু ৭০ আসনেই গুটিয়ে গিয়েছে। খড়দায় ঠিক এভাষাতেই বিজেপিকে আক্রমণ শানান অভিষেক। তাঁর দাবি, ‘গত ৩ আসনে উপনির্বাচনে ৩-০ হয়েছে। এবারের যে চারটি আসনে উপনির্বাচন, তার মধ্যে দু’টি বিজেপির জেলা আসন। এবার সেটা ৪-০ হবে। মিলিয়ে নেবেন, ভোটবাক্স যখন খুলবে পদ্মফুলবাবুরা তখন চোখে সরষেফুল দেখবে।’
এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘ত্রিপুরা আর গোয়াই নয়, আমরা মেঘালয়তেও ঢুকছি, আমরা উত্তরপ্রদেশেও ঢুকছি। সারাদেশে এমন কোনও রকাজ্য নেই, যেখান থেকে মানুষ আমাদের লিখিত ই-মেল বা চিঠি পাঠায়নি। সকলেই মানছেন, বিজেপির হাত থেকে একমাত্র দিদিই বাঁচাতে পারবেন। মানুষের এই ভালবাসাই আমাদের এগিয়ে দেবে। আজ সারাদেশ বাংলার দিকে তাকিয়ে আছে। আজ বাংলা যদি পথ না দেখায় ভারতবর্ষ বাঁচবে না।’ এরপরেই অভিষেক বলেন, ‘ত্রিপুরায় গিয়েছি, গোয়াতে গিয়েছি। আগামী একবছরের মধ্যে দেশের অন্তত ১৫টি রাজ্যে তৃণমূলের শক্তিশালী সংগঠন তৈরি করে দেখাব। তারপর ২০২৪ সালে বিজেপিকে দিল্লির গদিচ্যুত করব।’