নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে চার দিনের সফরে সোমবার দুপুরে নয়াদিল্লি (New Delhi) যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Prime Minister Sk Hasina)। সফরে তাঁর সঙ্গী হচ্ছেন আট মন্ত্রী, তিন উপদেষ্টা, সরকারি আধিকারিক, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকরা। সবমিলিয়ে ১৭০ জনকে নিয়ে তিন বছর বাদে নয়াদিল্লি সফরে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। যদিও চলতি সফরে বাংলাদেশের প্রাপ্তির ভাঁড়ার শূন্য থাকারই সম্ভাবনা। একাধিক প্রাক্তন কূটনীতিবিদদের (Former Diplomat) মতে, শেখ হাসিনার (Sk Hasina) চলতি নয়াদিল্লি সফরে আখেরে দেশের সাধারণ মানুষের কোনও লাভ হবে না। রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে, আগামী সংসদ নির্বাচনে মোদি সরকারের সহযোগিতা সুনিশ্চিত করতেই দিল্লি যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। কয়েকদিন আগেই ভোট বৈতরণী পার হতে ভারতের সাহায্য চাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বিদেশ মন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, চারদিনের সফর হলেও মূলত আগামী মঙ্গলবার ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকই একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ। ওই বৈঠকে কুশিয়ারা নদীর জল বন্টন চুক্তি, সামরিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা সহ বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে। যদিও তিস্তার জল (Teesta ater) যে সহজে গাজলডোবা থেকে বাংলাদেশে গড়াচ্ছে না তা রবিবার তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নয়াদিল্লি যাচ্ছেন বিদেশ মন্ত্রী, বিদেশ প্রতিমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী, বাণিজ্য মন্ত্রী, রেলপথ মন্ত্রী, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী, বিদ্যুৎ-জ্বালানি ও খনিজ সম্পদের প্রতিমন্ত্রী এবং জলসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী। পাশাপাশি সফরসঙ্গী হিসেবে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক এবং বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি বিশিষ্ট শিল্পপতি তথা আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানির সঙ্গেও বৈঠকে বসবেন শেখ হাসিনা। আগামী বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যার।