আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যারা হিজাব পরিধানের বিরোধিতায় সরব হয়েছে, রাস্তায় নেমে মিছিল করছে, তাদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়ে ঠিক করেছে বলে জানিয়ে দিলেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। প্রেসিডেন্ট বলছেন, বিক্ষোভের নামে দেশে নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। বিক্ষোভের আসল উদ্দেশ্য দেশে দাঙ্গা বাধিয়ে দেওয়া। সেটা কোনওভাবেই হতে দেওয়া যায় না। প্রতিবাদের হঠাতে গিয়ে মৃত পুলিশকর্মীর পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন, প্রেসিডেন্ট। জানিয়েছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।
যদিও প্রেসিডেন্টের এই হুমকিতে দমতে নারাজ হিজাব-বিরোধীরা। তাদের সাফ বার্তা, পুলিশ ও প্রশাসন যতই তাদের দমিয়ে রাখার চেষ্টা করুক না কেন, তাদের কোনওভাবে দমিয়ে রাখা যাবে না। আগামীদিনে আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়বে।
আল জাজিরার খবর অনুসারে, ইরানের বহু তরুণী ও মহিলা হিজাব খুলে আগুনে পুড়িয়ে দিচ্ছেন। অনেকে চুল কেটে ফেলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা গিয়েছে, কয়েকজন মহিলা আগুন জ্বালিয়ে সেই আগুনে হিজাব ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছেন। নিজেদের হাতে চুল কেটে আগুন ছুঁড়ে ছুঁড়ে দিচ্ছেন। স্লোগান দিচ্ছেন স্বাধীনতার। প্রতিবাদের পাশে একে একে দাঁড়াতে শুরু করেছেন সে দেশের বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়।
ইরানের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা আসগার ফারহাদি জানিয়েছেন, মহিলাদের এই বিক্ষোভের যথেষ্য যুক্তি রয়েছে। তারা নেওয়া সিদ্ধান্তে আমার পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। এরা স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলন করছে। আজকের যুগে মহিলাদের ওপর এভাবে জোর করে পোশাকবিধি চাপিয়ে দেওয়া যায় না।
ইরানের পরিস্থিতির দিকে নজর রেখেছে আন্তর্জাতিক দুনিয়া।