নিজস্ব প্রতিনিধি: মেরেকেটে হাতে আর পাঁচমাস রয়েছে। ২০২২ ফেব্রুয়ারি কিংবা মার্চে গোয়ার বিধানসভা নির্বাচন। তাই আর দেরী না করে পশ্চিম ভারতের এই দ্বীপরাজ্যে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। একগুচ্ছ ভিন্ন জগতের পরিচিত মুখকে দলে যোগদান করিয়েছে ঘাসফুল শিবির। গুরুদায়িত্বে রয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক তথা গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোকে। দীর্ঘদিন কানাঘুষো শোনা গেলেও এবার প্রকাশ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে মুখ খুললেন গোয়ার প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় সরদেশাই।
সোমবার তিনি সংবাদমাধ্যমে তৃণমূলের সঙ্গে জোট প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘রাজ্যের আমজনতার মনভাব বুঝেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়ে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর সংস্থা আইপ্যাকের সঙ্গে আলোচনা আপাতত স্থিতাবস্থায় রয়েছে। এ বারের ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি আমাদের ভাবনায় নেই। গোয়া, গোয়ার মানুষ এবং গোয়ার সংস্কৃতিকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নীতিতে অবিচল থেকেই আমরা পরবর্তী রাজনৈতিক পদক্ষেপ স্থির করব।’
আগামী ২৮ তারিখ গোয়া যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই একাধিক চমক অপেক্ষা করবে গোয়াতে বলাই যায়। ইতিমধ্যেই গোয়া হাজির হয়েছেন দলের দুই নেতা বাবুল ও সৌগত রায়। অপরদিকে গোয়াতে, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গে ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটের আগে আসন সমঝোতার বিষয়ে কংগ্রেসের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তা এগোয়নি।। এককভাবে লড়াই করেই তিন কেন্দ্রে জেতে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি। ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটের পরে গোয়ায় জোট সরকার তৈরি করেছিল বিজেপি। সেই জোট সরকারে যোগ দিয়েছিল জিএফপি। ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত গোয়ার সেই সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজয়। কিন্তু এর পর বিজেপি’র সঙ্গে সমঝোতা ভেঙে যায়। তাই গোয়াতে বিজেপি ও কংগ্রেস ছাড়া তৃতীয় শক্তি তৃণমূলের সঙ্গে জোটে যেতে যাওয়ার কথা ভাবছে বিজয়ের দল।