নিজস্ব প্রতিনিধি: এক যুবকের মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিং থানা এলাকায়। রবিবার লক্ষ্মীপুজোর দিন সকালে একটি জলাশয় থেকে মৃত যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম শান্তনু মণ্ডল। ৩০ বছর বয়স তাঁর। রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ক্যানিংয়ের রায়বাঘিনী এলাকার সবুজপল্লীর একটি জলাশয়ে প্রথম দেহটিও পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপর দেহটি উদ্ধার করেন তাঁরা। খবর দেওয়া হয় নিখোঁজ যুবকের পরিবারকে। তাঁরা এসে দেহটি সনাক্ত করেন। পাশাপাসি খবর দেওয়া হয় ক্যানিং থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। মৃত যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তনু মণ্ডল পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিল। বন দফতরের অধীনে অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কাজ করতেন তিনি। সম্প্রতি সেই কাজ ছেড়ে দেন ওই যুবক। গত শনিবার বাড়ি থেকে বেরোনোর পর আর বাড়ি ফেরেনি ওই যুবক। এরপর পরিবারের লোকজন তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেও কোনও হদিশ পাননি। এমনকি ফোনে যোগাযোগ করেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। অবশেষে রবিবার সকালে এলাকার একটি জলাশয় থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
অন্যদিকে কী ভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাঁকে কেউ খুন করে জলাশয়ে ফেলে দিয়ে গিয়েছে নাকি অন্য কোনও কারণে মৃত্যু হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনা নিয়ে মৃতের এক আত্মীয় জানান, শনিবার বিকেলে ১০০ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল শান্তনু। তারপর আর ফেরেনি। ও মাঝেমধ্যেই বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করত। কিন্তু জলাশয়ে কীভাবে তার মৃতদেহ এল, তা বুঝতে পারছি না। আশা করছি, পুলিশ তদন্ত করলে মৃত্যুর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। লক্ষ্মীপুজোর দিনে এমন মর্মান্তিক ঘটনায় শকের ছায়া নেমে এসেছে যুবকের পরিবারে।