আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নির্মাণ শ্রমিকদের পর এবার শরণার্থী এবং অনাথ শিশুদের জন্য বিশ্বকাপের খেলা দেখার ব্যবস্থা করল কাতারের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। নানা প্রাণে ছড়িয়ে থাকা তাদের শিবিরে ম্যাচ দেখার ব্যবস্থা করা হয়। শিবিরে তৈরি করা হয় ফ্যান জোন। ম্যাচ দেখার ব্যবস্থা সেখানেই করা হয়েছে। এই কর্মসূচির নাম – কাতার ফিফা ২০২২ ফর অল: সেলিব্রেটিং ফুটবল উইথ রিফুইজিস অ্যান্ড ডিসপ্লেসড পিপল। ব্যবস্থা করে কাচার চ্যারিটি।
সোমালিয়ার শরণার্থী শিবির শাবেল্লেতে ঘড়ছাড়া ১৩ হাজার মানুষ বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখেছে। শরণার্থী শিবিরের বাসিন্দা ১৪ বছরের হাসান হুসেন আবদুল জানিয়েছে, কাতার যাওয়া কোনওভাবেই তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। ফলে, বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখার প্রশ্নই ছিল না। কিন্তু কাতার চ্যারিটি তার এবং শরণার্থী শিবিরের বাকিদের সেই যন্ত্রণা লাঘব করেছে শরণার্থী শিবিরে বসানে হয়েছিল ফ্যান জোন। সেখানে তারা একসঙ্গে বসে খেলা দেখেছে। বিশ্বকাপের খেলা দেখে উচ্চ্বসিত ১২ বছরের আবদেল ফাতাহ আহমেদ মুখতার। জানিয়েছে, ছোট থেকে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা। অর্থাভাবের জন্য তার পক্ষে টাকা খরচ করে ম্যাচ দেখা সম্ভব ছিল না। কাতার চ্যারিটি তাঁর সেই অভাব দূর করেছে।
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরেও বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখার জন্য বসানো হয় জায়ান্ট স্ক্রিন। একটি ঢাকার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে, দ্বিতীয়টি ভাসান চড়ে। ম্যাচ দেখে খুশি ক্লাস সেভেনের শাওয়ান আহমেদ। খুশি বাকিরাও। ধন্যবাদ দিচ্ছে কাতারের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাতার চ্যারিটিকে।
