নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশজুড়ে চলছে লোকসভা নির্বাচন(Loksabha Election 2024)। আগামী ১ জুন সপ্তম দফা ভোটগ্রহণের মাধ্যমে তা শেষ হবে। তারপর ৪ জুন হবে নির্বাচনী গণনা ও ফলপ্রকাশ। লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার সময় থেকে সম্পূর্ণ ফলাফল ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত দেশে লাগু থাকছে আদর্শ আচরণবিধি। আর এই আদর্শ আচরণবিধি লাগু থাকায় দেশের কোনও রাজ্যেই নতুন করে কোনও প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে না। কিন্তু ভোট মিটলেই যাতে সেই সব আটকে থাকা কাজ শুরু করে দেওয়া যায় তার জন্য বাংলার(Bengal) বুকে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে রাখছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) নেতৃত্বাধীন সরকার। আর নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবারের লোকসভা ভোট মিটে গেলেই বাংলার বুকে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক বড় বিপ্লবের পথে হাঁটা দিতে চলেছে মমতার সরকার। কেননা ঠিক হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যে পরিকাঠামো উন্নয়নের(Infrastructure Development) ক্ষেত্রে সেতু নির্মাণকে(Building Bridges) বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। আর সেই সূত্রেই ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে রাজ্য সরকার ২টি বড় এবং ১৩২টি ছোট ও মাঝারি সেতু নির্মাণের কাজে হাত দিতে চলেছে। এর মধ্যে কিছু সেতুর নির্মাণ এই অর্থবর্ষেই সম্পূর্ণ করা হবে, কিছু আগামী অর্থবর্ষে শেষ হবে এবং বড় সেতু দুটির নির্মাণে মোট ৩ বছর হাতে সময় রাখা হচ্ছে।
গত কয়েক বছরে রাজ্যের বুকে সড়ক সংস্কারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। পাহাড় থেকে সাগর—রাজ্যজুড়ে কয়েক হাজার কিলোমিটার রাস্তা নতুন করে তৈরি করা হয়েছে অথবা তা সংস্কার করা হয়েছে। সেই তুলনায় সেতু সংস্কার বা নতুন সেতু নির্মাণের কাজ হয়নি। তাই এই বছর সেতু তৈরিকে অগ্রাধিকার দিয়ে এগতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। চলতি বছরের রাজ্য বিধানসভায় বাজেট পেশ করার সময়েই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে প্রায় ১,২০০ কোটি টাকা খরচ করে গঙ্গাসাগর সেতু এবং ৮০০ কোটি টাকা খরচে বর্ধমানে শিল্প সেতু তৈরি ছাড়াও প্রায় ৯০০ কোটি টাকা খরচ করা হবে ছোট ও মাঝারি সেতু নির্মাণ করতে। এর মধ্যে ৪২টি সেতু তৈরি করার কথা রয়েছে রাজ্য পূর্ত দফতরের। বাকি ৯০টি করবে পূর্ত দফতরের সড়ক শাখা বা PWD(Roads)।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার সঙ্গে নদিয়ার শান্তিপুরের সংযোগকারী সেতু, তেহট্টে জলঙ্গী নদীর ওপর সেতু এবং মুর্শিদাবাদে বাবলা নদীর ওপর লোহাদহ ঘাট সেতু। এছাড়া, পাহাড় সহ গোটা উত্তরবঙ্গে তৈরি হবে একাধিক সেতু। হাওড়া জেলার গ্রামীণ এলাকাতেও তৈরি হবে একটি সেতু। আগেই রাজ্যের পূর্ত দফতরের অধীনে থাকা রাজ্যের সমস্ত সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী দুর্বল সেতুগুলির জায়গায় নতুন সেতু তৈরি করা হবে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, সংযোগকারী রাস্তা অনেক চওড়া আর সেতু যথেষ্ট সঙ্কীর্ণ। সেসব ক্ষেত্রে সেতু আরও চওড়া করা হবে। এই প্রেক্ষিতে কোন কোন সেতুর কাজ চলতি অর্থবর্ষেই শুরু করা যবে, তা চিহ্নিত করা হয়েছে।