নিজস্ব প্রতিনিধি: অধিকারীদের নিজেদের শহর কাঁথির(Contai) বুকে শনি দুপুরে সভা করছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। এই সভা হচ্ছে কাঁথি শহরের প্রভাত কুমার কলেজের মাঠে যেখান থেকে অধিকারীদের বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’(Shantikunja) মেরেকেটে ২০০ মিটার দূরে। এই সভা ঘিরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা অধিকারী পরিবারের মেজ ছেলে শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari) আগেই অভিযোগ তুলেছিলেন যে, তাঁর বাবা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী(Sishir Adhikari) এবং তাঁদের পরিবারকে জ্বালাতন করার জন্য এই সভা করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় আদালত যাতে এই সভার ওপর স্থগিতাদেশ দেয় তার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে(Calcutta High Court) মামলাও ঠোকেন শুভেন্দু। কিন্তু আদালত সেই আর্জি নাকচ করে দেয়। তবে তৃণমূলের(TMC) সভার জন্য কিছু শর্তও বেঁধে দেয়। যার মধ্যে অন্যতম ছিল, ‘শান্তিকুঞ্জ’র ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও মাইক্রোফোন, বক্স বা মাইক লাগানো যাবে না। কিন্তু শনি দুপুরে সেই নির্দেশ মানা হয়নি বলেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন শিশিরবাবু।
আরও পড়ুন মহেশতলার দুর্ঘটনায় আহত অন্বেষার চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন অভিষেক
কী অভিযোগ শিশিরবাবুর? কাঁথির সাংসদের দাবি, ‘আদালত ১০০ মিটারের শর্ত চাপালেও আমার বাড়ি থেকে ৬০ মিটার দূরে মাইক্রোফোন লাগানো হচ্ছে। আদালতের নির্দেশ মানা হচ্ছে না। আদালতের নির্দেশ এরা কোনও দিনই মানে না। এখানে নিয়ম মেনে কাজ করার কোনও লোক নেই। এখন আর এইসব বিষয়ে কথা বলে কি কোনও লাভ আছে? যা পারে করুক, আমি এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্যই করব না।’ যদিও জেলা প্রশাসন ও তৃণমূলের দাবি, শিশিরবাবু বাড়ি থেকে বেড়িয়ে ফিতে মেপে দেখে নিন আদালতের নিয়ম মানা হয়েছে কী হয়নি। উল্লেখ্য, তৃণমূলের সভার অনুমতি দিয়ে আদালত শর্ত চাপিয়েছিলেন যে শান্তিকুঞ্জের ১০০ মিটারের মধ্যে কোনও মাইক্রোফোন লাগানো যাবে এবং এই চত্বরে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে হবে। সেই সঙ্গে শিশিরবাবুর অনুমতি ভিন্ন যাতে ওই বাড়িতে কেউ ঢুকে পড়তে না পারে তা দেখতেও নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন কেন্দ্রের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই রাজ্যের লজিস্টিকস নীতি
সেই নির্দেশের জেরে গতকাল থেকেই শান্তিকুঞ্জের আশেপাশের এলাকা কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ঘিরে যাতে এলাকায় কোনও অশান্তি না হয় তা নিয়েও সচেতন প্রশাসন। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা চত্বর। ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা বেষ্টনী রাখা হয়েছে সভাস্থল জুড়ে। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি থাকছে স্পেশাল নিরাপত্তা রক্ষী। হাইকোর্টের নির্দেশে শুভেন্দুর বাড়ির সামনে মাপা হচ্ছে শব্দের পরিমাণ। এদিন সকালেও শান্তিকুঞ্জের চারিদিকে নিরাপত্তার খতিয়ে দেখতে জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা এসেছিলেন। তারপরেও আদালতের নির্দেশ মানা হচ্ছে না বলে সরব হয়েছেন শিশির অধিকারী।