নিজস্ব প্রতিনিধি: সম্পর্কের কী কোনও ব্যাকারণ হয়, নাকি তার কোনও সংবিধান থাকে। হ্যাঁ এটা সত্যি যে পৃথিবীর সব দেশেই সম্পর্কের বৈধতা নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু আইন থাকে যা মেনে চলতে হয় সেই দেশের সব নাগরিকদের। সেই সব আইনের বাইরেও কিন্তু থাকে সামাজিক ও ধর্মীয় কিছু আইন, রীতিনীতি, প্রথা। কিন্তু প্রেম, ভালবাসা, সম্পর্ক, যৌনতা, সহবাস সবসময় সেই সবকিছু মেনে যে চলে না সেটা সকলেই জানেন। তাই তো সমাজের বুকে অবৈধ সম্পর্কের ছড়াছড়ি পৃথিবীর সব দেশেই। পরকিয়া থেকে সমকামিতা ক্রমশ ডানা মেলছে বিশ্বজুড়ে। বাংলার ঋতুপর্ণ ঘোষের(Rituparna Ghosh) বুকের পাটা ছিল একটা ‘উৎসব’ তৈরি করার। বাংলার অনেক ঘরেই ঘটে যাওয়া মামাতো-পিসতুতো-মাসতুতো সম্পর্ককে সবার সামনে বড় পর্দায় তুলে ধরার। এবার কিন্তু সিনেমা নয়, একদম বাস্তব ঘটনা ঘটেছে বাংলার বুকে। মাসতুতো দাদার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন এক তরুণী। ঘটনাটি জলপাইগুড়ির(Jalpaiguri)।
আরও পড়ুন ২ জানুয়ারি দুপুর ১২টা খুব গুরুত্বপূর্ণ, টুইট কুণালের
জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি শহরের ঘটনা এটি। যে তরুণী গর্ভবতী(Pregnant) হয়ে পড়েছেন তিনি মূক ও বধির(Deaf and Dump)। একই সঙ্গে বাড়িতে একাই থাকেন। কেননা বাবা-মা মৃত। এক ভাই বাড়িতে থাকলেও সে দৃষ্টিহীন। কার্যত আত্মীয়দের আর্থিক সাহায্যে তাঁদের দিন কাটে। সেই বাড়িতেই যাতায়াত ছিল তরুণীর মাসতুতো দাদার। যেহেতু নিজের মাসির ছেলে তাই পাড়ার কেউ সেভাবে মাথা ঘামাননি। কিন্তু সম্প্রতি পাড়ার মহিলারা লক্ষ্য করেন ওই তরুণীর বেশ কিছু শারীরিক পরিবর্তন ঘটছে। চেপে ধরলে তাঁরা জানতে পারেন তরুণী ৫ মাসের অন্তস্বত্ত্বা। আর তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের পিতা তাঁরই মাসতুতো দাদা যার হামেশাই আনাগোনা ছিল তাঁদের বাড়িতে। বিগত দুই বছর ধরে দাদা-বোন শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন। যদিও ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পরে ওই যুবক বোনের বাড়িতে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন। এমনকি পাড়ার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই যুবক ও তাঁর পরিবার তরুণীকে হুমকি ধমকি দিচ্ছে গর্ভপাত করানোর জন্য।
আরও পড়ুন ফেব্রুয়ারি নয়, মে মাসেই হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন
জল এখানেই থেমে থাকেনি। জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় ওই যুবকের নামে একরকম জোর করিয়ে অভিযোগ দায়ের করিয়েছেন পাড়ার বাসিন্দারা। তাঁদের চাপে ওই তরুণী ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও তরুণীর ঘনিষ্ঠদের একাংশের দাবি, যে যুবক এই কীর্তি ঘটিয়েছেন তাঁর আগে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণে তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে চলে যান। তারপরেই নাকি এই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ওই যুবক। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েই চলছিল অবাধ সহবাসের পালা, যার জেরে তরুণী এখন গর্ভবতী। ওই যুবকও আর বিয়ে করতে চাইছেন না তরুণীকে ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ায়। পুলিশ যুবককে গ্রেফতারির আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন, যুবকের নয় জেল হবে। ওই মূক বধির তরুণী ও তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের কী হবে? তাঁদের ভবিষ্যৎ কী হবে? উত্তর কারোরই জানা নেই।