আন্তর্জাতিক ডেস্ক: কর্মী ছাঁটাই নিয়ে এবার মুখ খুললেন সুন্দর পিচাই। জানালেন, তাকে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বাধ্য হয়ে। সূত্রের খবর, গুগল সিইও অভ্যন্তরীণ বৈঠকে সংস্থার কর্তাদের বলেন, কর্মী ছাঁটাইয়ের আগে তিনি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এবং বোর্ড মেম্বারদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তাদের জানান, সংস্থার বেশ কয়েকজন কর্মীর জন্য গুগলের মান পড়ছে। এই অবস্থায় একটাই রাস্তা খোলা। আর সেই রাস্তা হল পদক্ষেপ করতে হবে আগে, যার একটি সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকবে। সময়মতো পদক্ষেপ না করলে সমস্যা আরও ঘনীভূত হবে। বাড়বে জটিলতা।
গত শুক্রবার এই সার্চ ইঞ্জিন সংস্থা জানিয়ে দেয়, তারা ১২ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কর্মী ছাঁটাইয়ের খবর অনেক আগে থেকেই ঘুরতে শুরু করছিল। ছাঁটাই হওয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ কর্মীর অনেকেই মনে করছেন, গুগলের হালফিলের কর্পোরেট সংস্কৃতির সঙ্গে তারা মানিয়ে নিতে পারছে না। ফলে, কাজ করতে গিয়ে তারা হোঁচট খাচ্ছে। যদিও পিচাই জানিয়েছেন, সংস্থার শতাধিক কর্মী গুগলকে চাইছে ডুবিয়ে দিতে। সেটা কোনওভাবেই হতে দেওয়া যায় না। তাই, কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া ছাড়া দ্বিতীয় কোনও রাস্তা তাঁর সামনে খোলা ছিল না।
গুগল ছাড়াও আরও কয়েকটি তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্মী ছাঁটাই করেছে অ্যামাজন। একই রাস্তায় হাঁটার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টুইটার কর্তা এলন। আগামীদিনে বাকিরাও যে এই পথে হাঁটবে তা ধরে নেওয়া যেতে পারে।