নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি যখন বাংলার রাজনীতি কাঁপাচ্ছে ঠিক তখনই এবার সামনে এল WBCS পরীক্ষায় নম্বর দুর্নীতি। আর সেই ঘটনার জেরেই এখন নজর পড়েছে রাজ্যেরই ৫ জন আধিকারিকের ওপরে। এদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, এরা ঘুরপথে নম্বর বাড়িয়ে অবৈধ ভাবে চাকরি পেয়েছেন। এই ৫ জনের মধ্যে প্রথম জন রাজ্যের অর্থদফতরের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারের(Assistant Commissionar) পদে কর্মরত। বাকি ৪ জনের মধ্যে ২জন বর্তমানে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে কর্মরত। বাকি ২ জনের মধ্যে ১জন এখন উত্তরবঙ্গের একটি ব্লকের বিডিও(BDO) এবং অপরজন খাদ্য দফতরে কর্মরত। উত্তরবঙ্গে বিডিও পদে কর্মরত আধিকারিক ২০১৭ সালের ব্যাচের। বাকি ৪জনই ২০১৬ সালের ব্যাচের। এর আগেও WBCS পরীক্ষায় যাঁদের বিরুদ্ধে বিধিবহির্ভূত ভাবে নম্বর বাড়ানোর অভিযোগ উঠেছিল, তাঁদের ক্ষেত্রেও মাল্টিপল চয়েস কোয়েশ্চন(MCQ) সম্বলিত ওএমআর শিটে কারচুপির প্রসঙ্গে ওঠে।
আরও পড়ুন বাংলার দলীয় সাংসদের আসন বদলের পথে বিজেপি
দুর্নীতি ঠিক কীরকম হয়েছে? সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ধারাবাহিক ভাবে WBSC নম্বর কেলেঙ্কারির যে নানা খবর সামনে এসেছে, তা থেকে দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার, নিয়োগ পরীক্ষায় কারচুপি ঘটানো হচ্ছে ওএমআর উত্তরপত্রেই। এখন সেই ঘটনা সামনে আসতেই নানান মহল থেকে দাবি উঠেছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার স্বার্থে নম্বর কেলেঙ্কারিতে জড়িত আধিকারিকদের অবিলম্বে বরখাস্ত করা হোক। সব থেকে বড় বিষয় এখানেও দেখা যাচ্ছে কারচুপি যা হচ্ছে তা OMR Sheet-এ। যার অর্থ যারা রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি জড়িত তাঁরাই এই WBCS কেলেঙ্কারিতেও জড়িত। এক্ষেত্রেও তাই নগদের লেনদেন হওয়ার পূর্ণ সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে এখনও না কলকাতা হাইকোর্টে কোনও মামলা দায়ের হয়েছে না বড়সড় কোনও তদন্ত চালু হয়েছে। তবে সূত্রে জানা গিয়েছে রাজ্য সরকারই এখন এই নম্বর কারচুপির বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।