এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বাংলার দলীয় সাংসদের আসন বদলের পথে বিজেপি

নিজস্ব প্রতিনিধি: একের পর এক সমীক্ষার রিপোর্ট এসে গিয়েছে। প্রায় সব সমীক্ষায় বলে দিচ্ছে দেশে আগামী লোকসভার নির্বাচনে আমজনতার বড়সড় ক্ষোভের মুখে পড়তে চলেছে গেরুয়া শিবির। তার জেরে তৃতীয় মোদি সরকার(Modi Government) গঠনের পথে কাঁটার কার্পেট পেতে দিত্রে পারেন দেশের ক্ষুব্ধ জনতা। সমীক্ষাগুলিতে বাংলার(Bengal) বুকেও বিজেপি(BJP)র আসন সংখ্যা ভাল রকম কমার ইঙ্গিত মিলেছে। সর্বাধিক ৬টি আসন আসতে পারে বাংলা থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে ওই সব সমীক্ষায়। আর সেই কারণেই বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে চাইছেন না মোদি-শাহ-নাড্ডারা। তাঁরা এখন বাংলায় দলের বেশ কিছু সাংসদের আসন বদলের পরিকল্পনা করছেন। অর্থাৎ যে সব সাংসদেরা ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন তাঁদের কয়েকজনের আসন তাঁরা বদল করতে চাইছেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। এহেন সম্ভাবনা সামনে আসতেই নিজেদের জন্য তুলনায় ‘নিরাপদ’ আসনের খোঁজ পেতে মরিয়া বঙ্গ বিজেপির সাংসদদের একাংশ। একই সঙ্গে এটাও জানা গিয়েছে যারা ২০১৯ সালের ভোটে জিতেছিলেন তাঁদের সবাইকে এবারে টিকিট নাও দেওয়া হতে পারে।

আরও পড়ুন অ্যাপ ক্যাব নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত রাজ্যের, চালু হচ্ছে Complaint Cell

বিজেপি সাংসদের এই আসন বদলের ঘটনা বা ফের ভোটে লড়াই করার টিকিট না দেওয়ার ঘটনা যে শুধু বঙ্গ বিজেপির ক্ষেত্রেই ঘটছে এমন নয়। দেশের যে সব রাজ্য থেকে ৫ এর বেশি সাংসদ বিজেপি ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে পেয়েছিল, তার সবকটিতেই এই ব্যবস্থা নিচ্ছে গেরুয়া শিবিরের বড় অংশ। আর এই আসন বদল বা টিকিট না পাওয়ার আশঙ্কা ছড়িয়ে পড়তেই বঙ্গ বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে বেশি দেরী হননি। ক্ষোভ কোথায়? নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক রাজ্য বিজেপির এক সাংসদের বক্তব্য, ‘টিকিট দেওয়া না হলে অন্য বিষয়। কিন্তু দলের যে এমপি বিগত পাঁচ বছর ধরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সংগঠন তৈরি করেছেন, নিজের জনভিত্তি বাড়িয়েছেন, তিনি কেন অন্য আসন থেকে লড়বেন! আর ভিন আসন থেকে এসে কেন ওই সিটে আগের এমপির জনভিত্তির ফায়দা তুলবেন অন্য কেউ? এভাবে হয় না।’ দিল্লিতে বিজেপির সাম্প্রতিক জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শেষে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) দাবি করেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপি কমবেশি ২৫টি আসনে জয়লাভ করবে। যা নিয়ে তখনই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। এখন যখন দলেরই সাংসদদের আসন বদলের ও টিকিট না দেওয়ার পথে হাঁটার ইঙ্গিত মিলেছে তখন বঙ্গ বিজেপিতে ক্ষোভ বিক্ষোভ যে আরই চড়বে এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

আরও পড়ুন নির্মলার বাজেটে বাংলার প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, দেখে নিন এক নজরে

এবার আসা যাক আসল প্রশ্নে, কার টিকিট প্রাপ্তির সম্ভাবনা রয়েছে আর কার নয়! কারই বা আসন বদলের সম্ভাবনা রয়েছে? বিজেপি সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে বাংলা থেকে নির্বাচিত ৪জন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সকলেই টিকিট পাবেন। তবে বাঁকুড়া থেকে নির্বাচিত সুভাষ সরকারের আসন বদল হতে পারে। টিকিট পাচ্ছেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তাও। আর সেটা দার্জিলিং থেকেই। টিকিট পাচ্ছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়(Locket Chatterjee), তবে তাঁর আসন বদলে যেতে পারে। রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী এবার টিকিট নাও পেতে পারেন। টিকিট নাও পেতে পারেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। টিকিট নাও পেতে পারেন উত্তর মালদার সাংসদ খগেন মুর্মু, রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম, বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ এস এস আলুওয়ালিয়া। তবে জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খান, পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো, মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ নিজ নিজ আসন থেকেই টিকিট পেতে পারেন। শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী নিয়ে অবশ্য এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ফের বঙ্গে তীব্র তাপপ্রবাহের ‘চরম সতর্কতা’ জারি করল আবহাওয়া দফতর

গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ক্যাব-ট্যাক্সির ভাড়া, সমস্যায় যাত্রীরা

মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে মামলা প্রত্যাহার, ট্যুইট করে দাবি কুণালের

বাংলার মন্ত্রিসভার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তে সুপ্রিম স্থগিতাদেশ

সন্দেশখালিকাণ্ডে CBI তদন্তের বিরোধিতা করে রাজ্যের মামলার সুপ্রিম শুনানি মুলতুবি

নাখোদা মসজিদের সামনে প্লাস্টিকের গুদামে আগুন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর