নিজস্ব প্রতিনিধি: সংঘাত শেষ করলেন নিজেই। ফের বিধানসভার পরিষদীয় দলের হস্তক্ষেপে ভোলবদল রাজ্যপালের। মঙ্গলবার নবনির্বাচিত চার বিধায়কের শপথ বাক্য পাঠ করার কথা বিধানসভায়। সোমবার বিকেলে আচমকাই রাজ্যপাল জানান তিনি হাজির থাকবেন না সেই জায়গায় শপথ বাক্য পাঠ করাবে ডেপুটি স্পিকার আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই ফের একবার রাজ্যপাল বনাম বিধানসভার লড়াই সামনে আসে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের এই সিদ্ধান্তের পর বিধানসভায় পরিষদীয় দল সিদ্ধান্ত নেয় চিঠি পাঠানোর। সোমবার সন্ধ্যায় পরিষদীয় দফতরের তরফে রাজভবনে একটি চিঠি পাঠানো হয়। একই সঙ্গে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘রাজ্যপাল শপথ পাঠ করাবেন না। কী ভাবে হবে, কোথায় হবে তা আমরা নিজেরা ঠিক করে নেব।’ তার কিছুক্ষন বাদে জানা যায়, রাজ্যপাল অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কেই শপথ বাক্য পাঠের অনুমতি দিয়েছেন।
পরিষদীয় দলের সঙ্গে রাজভবনের আলোচনার পর শপথের সময়েও বদল এসেছে বলে জানা গিয়েছে। সকাল ১১টার পরিবর্তে বেলা ১২টায় শপথ বাক্য পাঠ করবেন চার নতুন বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত মণ্ডল, ব্রজকিশোর গোস্বামী ও উদয়ন গুহ। শপথ পড়াবেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সাধারণত বিধানসভায় স্পিকার নবনির্বাচিত বিধায়কদের শপথ বাক্য পাঠ করান। কিন্তু রাজ্যপাল চাইলেই শপথ বাক্য পাঠ করাতে পারে। তবে রাজ্যপাল শপথ বাক্য না পাঠ করালে তখন দায়িত্ব যায় স্পিকারের উপর। কিন্তু সোমবার আচমকাই স্পিকার উপস্থিতিতেই সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় ডেপুটি স্পিকারের উপর।
দুর্গাপুজোর আগে ভবানীপুর উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়ের পর তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করাতে স্পিকারের সঙ্গে অশান্তিতে জড়ান রাজ্যপাল ধনকড়। তারপরেই একাধিক চিঠি চালাচালি ও ক্ষোভ-বিক্ষোভের পর বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী সহ বাকি দুই নবনির্বাচিত বিধায়ককে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল ধনকড়।