নিজস্ব প্রতিনিধি: জঙ্গলে শুকনো পাতা কুড়াতে যাওয়া গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে গ্রামেরই ৪জন যুবকের বিরুদ্ধে। আর সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পূর্ব বর্ধমান(Purba Burdhwan) জেলার উত্তর সদর মহকুমার আউশগ্রাম(Aayushgram) থানা এলাকার যদুগড়িয়া(Jadugaria) গ্রামের পাশে থাকা জঙ্গলে। গ্রামবাসীদের দাবি, বুধবার বিকালে ঘটে যাওয়া ওই ঘটনায় বৃহস্পতিবার থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। কিন্তু পুলিশ তারপর থেকেই চেষ্টা করছিল ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে দেওয়ার। কিন্তু গ্রামবাসীরা এই ঘটনা নিয়ে আন্দোলনের হুমকি দিলে তাঁরা অভিযুক্তদের শনিবার রাতে গ্রেফতার(Arrest) করে। ধৃতদের নাম দেবাই সোরেন, মঙ্গল হেমব্রম, আরেকজন মঙ্গল হেমব্রম এবং সোম মুর্মু। সোমের বাড়ি গলসির লোয়াপুরে, বাকি তিনজনের বাড়ি যদুগড়িয়া গ্রামে।
আরও পড়ুন আধার কার্ডের Biometric Data ‘Clone’ করে বাড়ছে Cyber Crime
জানা গিয়েছে, বছর ২৭’র ওই গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি যদুগড়িয়া গ্রামে। ঘটনার দিন তিনি দুপুরে জঙ্গলে গিয়েছিলেন শুকনো পাতা কুড়াতে। ফেরার সময় বিকাল বেলায় ওই ৪ যুবক তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায়। তারপর মুখে চাপা দিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে চলে যায় জঙ্গলের ভিতরে। এরপর সেখানেই তাঁর হাত বেঁধে মুখে কাপড় গুঁজে চারজন মিলে বার বার তাঁকে ধর্ষণ করে। ওই মহিলা রাতে বাড়ি না ফেরায় পরেরদিন সকালে গ্রামের সবাই খুঁজতে বার হন। সেই সময় জঙ্গলের মধ্যে তাঁকে নগ্ন ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাঁকে উদ্ধার করে বননবগ্রাম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে রেফার করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। তিনি এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।
আরও পড়ুন বঙ্গ বিজেপির মুখ পুড়িয়ে আবাসে স্বচ্ছতার সার্টিফিকেট কেন্দ্রের
এই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার নির্যাতিতার মা আউশগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তারপরেও দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হচ্ছিল না। শেষে বিষয়টি নিয়ে আদিবাসী সমাজের মানুষেরা আন্দোলনের হুমকি দিলে পুলিশ তৎপর হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্তে নামে। হাসপাতালেই নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা। এরপরই মহিলার বয়ান অনুযায়ী চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। আউশগ্রামের জঙ্গলে বার বার গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠায় পুলিশি নজরদারি বাড়ানোরও দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।