নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা(Bengal) আগেই দেখিয়েছিল। এবার সেটা কর্ণাটকও(Karnataka) করে দেখাল। গোহারান হারালো বিজেপিকে। সেই বিজেপিকে যার মাথায় আছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা, যোগী আদিত্যনাথরা। সর্বোপরি যে দলের মাথায় আবার আছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ(RSS)। কন্নড়ভূমিতে এই পরাজয়ের ধাক্কায় বাংলার বিজেপি(BJP) নেতারা দিনভর মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছেন। তাঁদের কার্যত দেখা মেলাই ভার। কর্ণাটকের রায়ে বাংলার মাটিতেও চূড়ান্ত ভাবে কোনঠাসা হয়ে গিয়েছে বিজেপি। তুলনায় অনেকটাই উজ্জীবিত কংগ্রেস(INC)। পাহাড় থেকে সাগর জায়গায় জায়গায় কংগ্রেসের নেতা থেকে কর্মীরা উজ্জীবিত। আবির মাখছেন, নাচছেন, বাজি ফাটাছেন, মিষ্টি বিলি করছেন। খুশির হাওয়া জোড়া ফুল শিবিরেও(TMC)। দলনেত্রী(Mamata Banerjee) যেমন ট্যুইট করে বার্তা দিয়েছেন, তেমনি দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee) তাঁর বার্তা দিয়েছেন। বামেরা অবশ্য তুলনায় অনেকটাই চুপচাপ। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কর্ণাটকের এই রায়ের ফল কী কিছু পড়বে বাংলার রাজনীতিতে?
আরও পড়ুন ‘স্বৈরাচারী শাসনের পতন’, কর্ণাটকবাসীকে শুভেচ্ছা মমতার
বাংলা থেকে প্রায় হাজার কিমি দূরে থাকা কর্ণাটকের ভোটের ফলাফল সরাসরি কিছু পড়বে না বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা। তবে সেই রাজ্যে বিজেপির পরাজয়ের ধাক্কা সইতে হবে এ রাজ্যের বিজেপিকেও। কেননা দলটা এক। সব রাজ্যেই তা এক সূত্রেই চলছে। সেই এক সূত্রের মধ্যে আছে সংখ্যালঘুদের জন্য বিদ্বেষ, চড়া সুরের হিন্দুত্ব, আঞ্চলিক সভ্যতা-সংস্কৃতি-কৃষ্টিকে চূড়ান্ত অবমাননা এবং সর্বোপরি এক ধর্মীয় অনুশাসন ও হিন্দি ভাষাকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা। একুশের ভোটে বাংলা এসবের বিরুদ্ধে আগেই রয় দিয়ে দিয়েছিল। এবার সেই একই রায় দিল কর্ণাটক। সেই হারের জেরে মুখ পুড়ল মোদি-শাহ-নাড্ডার। সেই কালো মুখ নিয়ে তাঁরা বাংলায় এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে পারবেন তো? একইরকম ভাবে কর্ণাটকে জয়ের ধারায় বাংলার কংগ্রেসিরা যত নৃত্যই করুন না কেন, বাংলায় তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন তো? বাংলার বুকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই দুই দলই কী কোনও ছাপ ফেলতে পারবে? এই সব প্রশ্নের উত্তর আপাতত ভবিষ্যতের গর্ভে। তবে কংগ্রেস কর্ণাটকে ভেলকি দেখালেও বাংলায় তা দেখানোর আপাতত কোনও সম্ভাবনা নেই। বিজেপিও বাংলা থেকে বিদায়ের পথে।