নিজস্ব প্রতিনিধি: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি(BJP) শ্লোগান তুলেছিল, ‘আপকে বার ২০০ পার’। কিন্তু বাংলার মানুষ তাঁদের মাত্র ৭৭টি আসন দিয়েই থামিয়ে দিয়েছিল। তৃণমূল(TMC) ২১০’র বেশি আসন জিতে তৃতীয়বারের জন্য বাংলার ক্ষমতায় ফিরেছিল। বাংলার যে সব জেলায় তৃণমূল সব আসন জিতেছিল তার মধ্যে ছিল কলকাতাও(Kolkata)। এই শহরের ১১টি আসনেই ফুটেছিল ঘাসফুল। এর মধ্যে মানিকতলা বিধানসভা(Maniktala Assembly) কেন্দ্রে জয়ী হন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সাধন পান্ডে। ২০ হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে তিনি হারিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। কিন্তু পরে কল্যাণ আদালতে মামলা দায়ের করেন যে, তাঁকে কারচুপি করে হারানো হয়েছে। এরই মধ্যে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মারা যান সাধনবাবু। নিয়মমাফিক বিধানসভা কেন্দ্রে স্ট্যান্ডিং বিধায়ক মারা গেলে বা কোনও কারণে সেই আসন শূণ্য হলে ৬ মাসের মধ্যে সেখানে নির্বাচন করাতে হবে। কিন্তু কল্যাণ চৌনে আদালত থেকে তাঁর দায়ের করা মামলা না তোলায় দীর্ধদিন ধরে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের আয়োজন করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন।
এদিন তৃণমূলের নেতা কুণাল ঘোষ(Kunal Ghosh) ট্যুইট করে দাবি করেছেন যে, কল্যাণ চৌবে তাঁর মামলা আদালত থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কুণাল লেখেন, ‘সম্পূর্ণ অকারণে এতকাল সময় নষ্টের পর এখন আদালতে পরাজয় নিশ্চিত জেনে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে নিলেন বিজেপির পরাজিত প্রার্থী কল্যাণ চৌবে।’ কুণালের এই দাবি সত্য হলে এবার নির্বাচন কমিশনের কাছে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন করাতে কোনও অসুবিধার হওয়ার কথা নয়। সেক্ষেত্রে লোকসভা নির্বাচনের পরে বাংলার বুকে এক ডজন বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সময়ে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রেরও উপনির্বাচন করিয়ে নিতে পারে কমিশন। মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র প্রায় আড়াই বছর ধরে বিধায়কহীন হয়ে পড়ে থাকায় সেখানকার উন্নয়ন এবং নাগরিক পরিষেবা কিছুটা হলেও ব্যাহত হয়েছে। এলাকার মানুষও ক্রমশ কল্যাণ ও বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছিলো এই মামলা প্রত্যাহার না করার জন্য। কেননে এই মামলার জন্যই সেখানকার উপনির্বাচন আটকে ছিল। পরিস্থিতি অনুকূল নয় দেখেই সম্ভবত কল্যাণ তাঁর দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করেছেন বলেই অনেকে মনে করছেন।