নিজস্ব প্রতিনিধি: চলতি আইপিএল শুক্রবার মোহালিতে রাজস্থান রয়্যাল উইকেটে ৪ উইকেটে হারাল পাঞ্জাব কিংসকে। ম্যাচ জিতে প্লে-অফে যাওয়ার আশা টিকিয়ে রাখল সঞ্জু স্যামসনের দল।
প্লে-অফে যাওয়ার হাতছানি ছিল দুই দলের কাছেই। কাজেই গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে জেতাটা অত্যন্ত জরুরি ছিল। সেই ম্যাচে পাঞ্জাব ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করে ১৮৮ রানের টার্গেট দেয় রাজস্থানকে। এমনই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সেইভাবে জ্বলে উঠতে পারলেন না পাঞ্জাব অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান। ব্যর্থ হলেন আর এক ওপেনার প্রভশিমরন সিং-ও। এই তালিকায় শুধু দুইজন-ই নন, আছেন লিভিংস্টোন থেকে টাইডে সকলেই।
তবু তারই মাঝে কারেন, জ্যোতিষ ও শাহরুখ যথাক্রমে ৪৯, ৪৪, ৪১ রান না করলে ঘরের মাঠে পাঞ্জাবকে লজ্জার সামনে পড়তে হত। কিন্তু তা হয়নি এই ত্রয়ী ব্যাটারের সৌজন্যে।
বল হাতে পাঞ্জাবকে শুক্রবার একাই শেষ করে দিলেন সাইনি। চার ওভার বল করে ৪০ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়েছেন তিনি। বাকি দুটি উইকেট নেন বোল্ট ও জাম্পা। কোনও উইকেট পেলেন না যজুবেন্দ্র চাহাল।
১৮৮ রান টার্গেট খুব একটা কম রান নয়, তবুও যে দলে যশস্বী জয়সওয়াল, বাটলার-এর মতো ছন্দে থাকা ব্যাটসম্যান রয়েছেন তাঁদের কাছে রানটা অনেকটাই হয়তো সহজ ছিল। কিন্তু হলে কি হবে বাটলার ফিরলেন কোনও রান না করেই। একই অবস্থা সঞ্জুরও। তবে শূণ্য রানে আউট হননি। তাঁর সংগ্রহ মাত্র দুটি রান।
এরপর রাজস্থানকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন যশস্বী ও দেবদূত। এই জুটিতেই রাজস্থান পার করে ১০০ রানের গণ্ডি। তবে এরপর আর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারল না এই জুটি। যশস্বী ৩৬ বলে ৫০ এবং দেবদূত ৩০ বলে ৫১ রান করে এইলিস ও অর্শদীপের বলে সাজঘরে ফেরেন।
এবার ব্যাট হাতে ক্রিজে আসেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার ডেভিড হেটমেয়ার ও রায়ান পরাগ। ম্যাচ তখনও ফিফটি-ফিফটি। সেখান থেকেই রাজস্থানের এই দুই ব্যাটার ঝড়ো ইনিংস খেলে রাজস্থানকে পৌঁছে দেন জয়ের দোরগড়ায়। ম্যাচের একেবারে শেষ লগ্নে এসে হেটমেয়ার পরাগ দুইজনে সাজঘরে ফিরলেন। তখন রাজস্থানের ম্যাচ জেতার জন্য দরকার ছিল ৭ বলে ৯ রান। সেখান থেকেই রাজস্থানকে জয়ের মুখ দেখান জুরুলে।