এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের ওপরেও লাগু হচ্ছে বিধিনিষেধ

নিজস্ব প্রতিনিধি: গ্রীষ্মের ছুটি মিটলেই রাজ্যের সব সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুলের শিক্ষক(Teachers) ও শিক্ষাকর্মীরা(School Staffs) কড়া বিধিনিষেধের আওতায় আসতে চলেছেন। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ(WBBSE) অনুমোদিত সব ধরনের স্কুলেই কাজের সময়ে আর বাইরে বেরতে পারবেন না স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উপসচিব (শিক্ষা) ঋতব্রত চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থ দফতর(Finance Department) এক বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করে এই নির্দেশিকা(Circular) জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, পর্ষদ স্বীকৃত সমস্ত সরকারি, সাহায্যপ্রাপ্ত, পোষিত, নন-গভর্নমেন্ট এডেড, ডিএ গেটিং এবং সাহায্যহীন স্কুলে হাজিরার ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা নিশ্চিত করতে হবে। এই ধরনের অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকরা (ডিআই-মাধ্যমিক) মধ্যশিক্ষা পর্ষদের উপসচিবকে (সাধারণ) রিপোর্ট পাঠাবেন। স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের কর্মদক্ষতা ও শৃঙ্খলা বাড়াতেই এই উদ্যোগ বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

  আরও পড়ুন রাজ্য সরকারের Group-D কর্মীদের পদোন্নতির প্রক্রিয়া শুরু

রাজ্যের অর্থ দফতরের নির্দেশিকা হুবহু মানলে গ্রীষ্মের ছুটি পর্ব মিটলেই কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী কাজের দিন বা স্কুলের সময়ে আর স্কুলের বাইরে বেরোতেই পারবেন না। নিতান্ত জরুরি প্রয়োজন হলে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিলেই ছাড়া যাবে স্কুল। সরকারি দফতরের মতো এ ক্ষেত্রেও টিফিনের সময়ের অবকাশ কি টিফিনের জন্য বাঁধা থাকবে? এ ব্যাপারে শিক্ষকদের নানা সংগঠন প্রশ্ন তুলেছেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রধান শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণাংশু মিশ্র জানিয়েছেন, ‘সরকারি দফতর আর স্কুল এক নয়। অনেক ফারাক আছে। টিফিনের সময়ে শিক্ষকরা নিজেরাই টিফিন করতে ব্যস্ত থাকলে, মিড ডে মিলের কাজ তদারকি করবে কারা! প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে সহকারি শিক্ষকরা বোঝাপড়া করেই সব কাজ করেন। আটকাবে কে? এ সব আটকাতে নিয়মিত পরিদর্শন জরুরি।’

আরও পড়ুন বাজারদরের ১৫ শতাংশ টাকা দিলেই মিলবে লিজ জমির মালিকানা স্বত্ত্ব

অন্যদিকে কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেসের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস জানিয়েছেন, ‘সাধারণ পড়ুয়াদের কথা ভেবে এ বার অন্তত স্কুলটা খুলুক! গ্রীষ্মের ছুটি আর কতদিন? তারপর না হয়, শিক্ষকদের হাজিরার নির্দেশিকা নিয়ে ভাবা যাবে।’ অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেড মিষ্ট্রেসেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি জানিয়েছেন, ‘গ্রাম বাংলায় এমন বহু স্কুল আছে, যেখানে স্কুলের ভিতর খাবারই থাকে না। দূর-দূরান্ত থেকে যারা আসেন, তাঁরা অনেক সময়ে খাবারও আনতে পারেন না। বাইরে থেকেই খাবার আনতে হয়। জরুরি প্রয়োজনে ব্যাঙ্কের কাজ-সহ নানা ব্যাপারে মাঝেমধ্যে টিফিনের সময়ে তাঁরা বাইরে যেতে বাধ্য হন। আমাদের মনে হয়েছে, এই সার্কুলার জারি করে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হয়েছে।’ শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চর সাধারণ সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী আবার জানিয়েছেন, ‘শিক্ষা দফতরের এই অগণতান্ত্রিক ও কালা সার্কুলারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। টিফিনের সময়ে শুধু টিফিন করলে মিড ডে মিল চলবে কী করে? বিদ্যালয়ের অনেক কাজ করতে হয় আমাদের। সেগুলি তাহলে কি আর করব না?’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

হাইকোর্টে ফের  জামিনের আবেদন খারিজ, জেলেই থাকতে হবে পার্থকে

দেবাশিষের সুপ্রিম ধাক্কা, কমিশনের সিদ্ধান্তে সিলমোহর শীর্ষ আদালতের

নবান্ন-রাজভবন- জাদুঘর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, তদন্তে লালবাজার 

সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

মন্ত্রী- বিধায়কদের জন্য সুখবর, মে মাসেই  পেতে চলেছেন বকেয়া-সহ বর্ধিত বেতন

হাইকোর্টেই বিক্ষোভের মুখে বিকাশ, শুনলেন ‘চাকরিখেকো’ শ্লোগান

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর