নিজস্ব প্রতিনিধি, বালেশ্বর: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও রেল কর্তাদের আড়াল করতে ‘বলির পাঁঠা’ খোঁজা শুরু হয়েছে। আর শনিবার দুর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে দেখতে গিয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হুঙ্কার ছেড়েছেন, ‘দুর্ঘটনার তদন্তে যাদের গাফিলতি ধরা পড়বে, তাদের কাউকে ছাড়াহবে না।’ আর প্রধানমন্ত্রীর হুমকির পরেই বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে খোঁচা দিয়ে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর হিম্মৎ থাকলে ‘অপদার্থ’ রেলমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিন।’
এদিন বিকেলে দিল্লি থেকে প্রথমে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সহ সেজেগুজে দাঁড়িয়ে থাকা রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন। উদ্ধারকার্য শেষ হওয়ায় অবশ্য উদ্ধারকারীদের বিশেষ পরামর্শ দেওয়ার মওকা পাননি। সূত্রের খবর, কতক্ষণে পুরো লাইন পরিষ্কার করা যাবে, ফের ওই রুটে পুরোদমে ট্রেন চালু হবে সে সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। বেশ কিছুক্ষণ দুর্ঘটনাস্থলে কাটিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ও শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে বালেশ্বরের হাসপাতালে পৌঁছান। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। চিকিৎসা নিয়ে খোঁজখবর নেন। সরকার সর্বাত্মকভাবে পাশে থাকবে বলে প্রতিশ্রুতিও দেন।
হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়েই সরকারের ভজনাকারী হিসেবে পরিচিত একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়ায প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই দুর্ঘটনা যথেষ্টই বেদনাদায়ক। আহতদের চিকিৎসার জন্য কোনও ফাঁক রাখা হবে না। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রতিটি দিক থেকেই দুর্ঘটনার বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাদের দোষ পাওয়া যাবে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।’