নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দু’জনে ছিলেন হরিহর আত্মা। বুধবার রাজধানীতে এক স্কুলের নয়া ভবন উদ্বোধনে গিয়ে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা নিজের প্রাক্তন ডেপুটি মণীশ সিসোদিয়ার কথা বলতে গিয়ে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়লেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিয়াল। আর আপ সুপ্রিমোকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখে হতচকিত হয়ে পড়েন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য অতিথিরা।
দিল্লি আবগারি নীতি কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়াকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তার কয়েকদিন বাদে তিহাড় জেলে বন্দি থাকার সময়ে আপ নেতাকে গ্রেফতার দেখায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও। একাধিকবার আর্জি জানালেও জামিন মেলেনি দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীর। এদিন স্কুল উদ্বোধনে গিয়ে প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা মণীশ সিসোদিয়ার কথা বলতে গিয়ে গিয়ে বাকরুদ্ধ কণ্ঠে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আজ মণীশজিকে ভীষণ মিস করছি। মণীশের স্বপ্ন ছিল, দিল্লির প্রতিটি বাচ্চাই যে ভালো পড়াশোনার সুযোগ পায়। আজ তাঁকে জেলে পচে মরতে হচ্ছে, কেননা মণীশের অপরাধ ছিল, গরিব বাচ্চাদের জন্য ভালো স্কুল তৈরি করা এবং উন্নত মানের পড়াশোনার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। আমরা মণীশের স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করব এবং এগিয়ে নিয়ে যাব’
সিসোদিয়ার গ্রেফতারি নিয়ে বিজেপি এবং কেন্দ্রের মোদি সরকারকে নিশানা করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ এনে মণীশকে গ্রেফতার করে জেলে পোরা হয়েছে। অথচ এ দেশে বহু ডাকাত বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মণীশও যদি বাচ্চাদের ভালো পড়াশোনার জন্য কোনও উদ্যোগ না নিত, তাহলে হয়তো আজ জেলে থাকতে হতোনা। বিজেপি নেতারা ভেবেছেন, মণীশজিকে জেলে পুরে দিল্লিতে শিক্ষাক্ষেত্রে যে বিপ্লব এসেছে সেই বিল্পবকে শেষ করে দেবে। কিন্তু বিজেপি নেতাদের সেই আশা কখনই পূরণ হবে না।’