নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বজুড়ে ‘ত্রাস’ হয়ে উঠছে করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রন। আর মারণ ভাইরাসের অনুপ্রবেশ আটকাতে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বাংলাদেশ সরকার।
শনিবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সুইৎজারল্যান্ডে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধিবেশনে যাওয়ার প্রাক্কালে সাংবাদিকদেরএ বিষয়ে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে আমরা যথেষ্টই সতর্ক রয়েছি। স্বাস্থ্য অধিদফতরেকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে দেশের সব বিমানবন্দর এবং স্থলবন্দরে ‘স্ক্রিনিং’ আরও জোরদার করা হচ্ছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার জন্য জেলা পর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য দেশ থেকে আসা নাগরিকদের বিষয়েও বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। বিদেশি নাগরিকদের টিকা নেওয়া রয়েছে কিনা এবং আরটিপিসিআর টেস্ট করা আছে কিনা দেখা হবে।’
গত মঙ্গলবারই দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতি ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই দেশগুলিকে সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে, ‘করোনার অন্যান্য প্রজাতির চেয়ে বেশ কয়েকগুন শক্তিশালী ওমিক্রন। শুধু তাই করোনার প্রতিষেধক হিসেবে যে ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে, সেই ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাকে অকেজো করে দিয়ে মানুষের দেহে থাবা বসাতে পারে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বিশ্বের মোট পাঁচটি দেশে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার পরে ইজরায়েল, বেলজিয়াম, বৎসোয়ানা ও হংকংয়ে থাবা বসিয়েছে করোনার নয়া প্রজাতি।’