নিজস্ব প্রতিনিধি: লোকসভা নির্বাচনের(General Election 2024) জন্য রাজনৈতিক মহলে প্রস্তুতি তুঙ্গে উঠেছে। প্রশাসনিক তরফেও তুঙ্গে তৎপরতা। সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে(ECI) থানা ভিত্তিক রিপোর্ট পাঠাচ্ছে নবান্ন(Nabanna)। আগামী বছর মার্চ মাস নাগাদ লোকসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তার আগেই প্রশাসনিক দিক থেকে যাবতীয় আয়োজন যাতে ঠিক থাকে, সেই বিষয়ে তৎপরতা তুঙ্গে উঠেছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ এবং ২০১৯ সাল-এই দুই লোকসভা নির্বাচনে নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ সংক্রান্ত তথ্য ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে পাঠাত পারে নবান্ন। এই দুই নির্বাচনে কত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর(Central Para Military Force) প্রয়োজন হয়েছিল এবং তাদের কোথায় মোতায়েন করা হয়েছিল, বুথ সংখ্যাই বা কত ছিল, স্ট্রং রুম সংখ্যা কেমন ছিল সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য একত্রিত করছে নবান্ন। এই প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসনের থেকে যাবতীয় তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে, সূত্রের খবর এমনটাই। খুব দ্রুত সেই রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি এটাও জানা গিয়েছে ওই দুই নির্বাচনে কোথায় কত বেআইনি মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল সেই রিপোর্টও জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ আগের দুই লোকসভা নির্বাচনের আগের কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে শুরু করে ভোট সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য একত্রিত করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, চলতি বছরেই হয়ে যাওয়া পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দ্বন্দ্ব উঠে এসেছিল তার ছায়া কিন্তু এবারে আর লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। তবে রাজনৈতিক ভাবে এবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) বেশ সতর্ক কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েন ঘিরে। একুশের ভোটেঈই কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতেই যেমন কোচবিহারে নিরীহ ৬জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ঠিক তেমনি রাজ্যের একাধিক জায়গা থেকে অভিযোগ এসেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে। সেই সব অভিযোগের মধ্যে যেমন ছিল মাঝ রাস্তাতে ভোটারদের ভয় দেখিয়ে বুথে যেতে না দেওয়া, তেমনি ছিল বুথের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ভোটারদের বিশেষ একটি রাজনৈতিক দলের হয়ে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে উঠেছিল শ্লীলতাহানির অভিযোগও।