নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: টানা দুদিন ধরে বাংলাদেশের সংবাদ শিরোনাম দখল করে রয়েছেন বাংলাদেশের চর্চিত গায়ক মইনুল আহসান নোবেল। গত সোমবার খবরে এসেছে যে, তৃতীয় বিয়ে করেছেন নোবেল। মাস কয়েক আগেই দ্বিতীয় স্ত্রী সালসাবিলের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়েছে তাঁর। এই চর্চার মধ্যেই গত রবিবার প্রথম নোবেলের সঙ্গে খুলনার ভিডিও ইনফ্লুয়েন্সার আরশির বেশ কয়েকটি ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল হয়। এরপর থেকেই চর্চায় উঠে আসে যে, নোবেল তৃতীয় ভালবাসা খুঁজে পেয়েছেন। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই সে বিয়ের ঘোষণা করবেন। এর একদিন পরেই নোবেলের প্রাক্তন স্ত্রী সালাসাবিল জানান যে, তিনি নোবেলের কোনও শোনেননি। শুধু এটুকুই জানেন যে, নোবেল জোর করে আরশিকে তুলে নিয়ে নিজের কাছে আটকে রেখেছেন।
আরশির আগের একটি বিবাহিত জীবন রয়েছে। তাঁর প্রথম স্বামী নাদিম একজন ফুড ব্লগার। কিন্তু তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে কিনা জানা নেই। ব্লগ ভিডিও বানাতে গিয়েই আরশির সঙ্গে নোবেলের পরিচয় হয়েছিল। কিন্তু গতকাল এত বিতর্কের পর অবশেষে সমস্ত গুজব অস্বীকার করে আরশি ফেসবুকে নোবেলের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন, তিনি বলেন, নোবেলকে তিনি বিয়ে করেননি। তাঁকে জোর কর মদ খাইয়ে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় ছবি তোলেন নোবেল। এমনকি তাঁর মাকেও বন্দুক দেখিয়ে তাঁর সঙ্গে এসব কীর্তি করেন নোবেল। এর জন্যে তিনি ইতিমধ্যেই থানায় নোবেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর একদিন পর অর্থাৎ আজ একই বিষয় নিয়ে মুখে খোলেন আরশির স্বামী নাদিম।
নোবেলের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ফারজানকে দেখার পর নাদিম আহমেদ সামাজিকমাধ্যমে একটি ভিডিওবার্তা করে জানান, স্ত্রীর প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। তবুও চেষ্টা করেছেন স্ত্রীকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনার। দীর্ঘদিনের সম্পর্কের পর দুই বছর আগে আরশিকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। গত আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্তও তাঁদের সুখের সংসার ছিল। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন হয়। নাদিম তাঁর স্ত্রীকে গায়ক নোবেলের সঙ্গে দেখতে পান। ভিডিওবার্তায় অনবরত কাঁদতে থাকেন নাদিম বলেন, ‘এত বছর সে আমার সঙ্গে, আমি কখনো কল্পনাও করিনি আমার স্ত্রী এমন কিছু করবে। আমি কিছুই জানতাম না। আমার স্ত্রী আমাকে নিয়ে পোস্ট দিচ্ছে, স্টোরি দিচ্ছে— সব কিছুই ভালোই যাচ্ছিল। সুতরাং এমন কিছু ঘটছে সেই সন্দেহ করারও সুযোগ ছিল না। হঠাৎ করেই একদিন দেখলাম গায়ক নোবেল একটা প্রোফাইল পিকচার দিয়েছে। যেখানে তার সঙ্গে আমার স্ত্রী। আমি কোনোভাবেই এটা বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। মেনে নিতে পারছিলাম না। এর পর হঠাৎ করেই দেখি নোবেলের আইডিতে আরশিকে বিয়ের দাবি করা একটি পোস্ট। এটা আমার জন্য মেনে নেওয়া কঠিন ছিল। আমি নোবেলের বাড়িতে পুলিশ নিয়ে যাই। এ সময় আরশির বাবা-ভাই আমার সঙ্গে উপস্থিত ছিল। সেখানে গিয়ে দেখি তারা দুজনেই নেশায় আসক্ত হয়ে আছেন। তবু চেষ্টা করেছি আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার। কিন্তু পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে আরশি জানান, সে আমার কাছে ফিরতে চান না। সবাই জানেন আমি সবসময় আরশিকে ওপরে উঠানোর চেষ্টা করেছি। কিন্তু আজকে আমি হেরে গেছি। যার যায় শুধু সেই বোঝে। আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত আনার জন্য শেষ চেষ্টাও করেছি। হয়তো অন্য কোনো ছেলে থাকলে সেটি করতেন না। কিন্তু আমি করেছি। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন এই সব কিছু দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারি।’
জি বাংলার ‘সা রে গা মা পা’র দুই বাংলার কাছেই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন মাইনুল আহসান নোবেল। কিন্তু তিনি গানের চেয়ে বেশি বিতর্কিত তাঁর একাধিক কর্মকাণ্ড। এবার ফারজান আরশির সঙ্গে বিয়ে করার দাবি করার পর টাইমলাইনে উঠেছেন নোবেল।