নিজস্ব প্রতিনিধি, হায়দরাবাদ: নয়া রাজ্য গঠন হওয়ার পরে প্রথমবার তেলঙ্গানায় সরকার গড়তে চলেছে কংগ্রেস। রাজ্য বিধানসভার ১১৯ আসনের মধ্যে কংগ্রেস জয়ী হয়েছে ৬৫ আসনে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কে বসবেন তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারলেন নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়করা। সোমবার হায়দরাবাদের একটি হোটেলে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসেছিলেন কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার ও দীপা দাশমুন্সি। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কংগ্রেস পরিষদীয় দলনেতা কে হবেন তা ঠিক করবেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি যে সিদ্ধান্ত নেবেন তা মেনে নেওয়া হবে।
তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এ রেবন্থ রেড্ডি, নালাগোন্ডার সাংসদ এন উত্তম কুমার রেড্ডি, বিদায়ী বিধানসভায় কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মাল্লু ভাট্টি বিক্রমারকা। নবনির্বাচিত বিধায়কদের মধ্যে বেশিরভাগই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির অনুসারী হিসেবে পরিচিত। সূত্রের খবর, এদিন হায়দরাবাদের এক বেসরকারি হোটেলে দলের নিবনির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে আলাদাভাবে রাজ্য কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কংগ্রেস সভাপতির পাঠানো বিশেষ দূত। ওই বৈঠকে সবার মনোভাব জেনে নেন ধুরন্ধর রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত শিবকুমার।
হায়দরাবাদে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ‘পরিষদীয় দলনেতা বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের হাতেই ছেড়েছেন বিধায়করা। সর্বসম্মতভাবেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কংগ্রেস সভাপতিকে এ বিষয়টি জানানো হচ্ছে।’ রাজ্য কংগ্রেসের এক নেতা জানিয়েছেন, ‘আগামী ৯ ডিসেম্বর নয়া মুখ্যমন্ত্রী শপথ নিতে পারেন। ওইদিন সোনিয়া গান্ধির জন্মদিন। পাশাপাশি ওই দিনই তেলঙ্গানা আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি পেয়েছিল। ফলে ওই শুভ দিনেই নয়া সরকার পথচলা শুরু করবে।’