নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার শাসক দল(Bengal Ruling Party) তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) রাজ্য সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সীর(Subrata Bakshi) নাম ভাঁড়িয়ে লাখ লাখ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই তাকে গ্রেফতারও(Arrest) করেছে পুলিশ। সব থেকে চাঞ্চল্যকর বিষয় হল ওই যুবক নিজেকে সুব্রত বক্সির জামাই(Fake Son in Law) বলে পরিচয় দিয়ে এই সব প্রতারণার ঘটনা ঘটিয়েছে যা বক্সিবাবুর কানেই যায়নি। দীপঙ্কর দাস(Dipankar Das) নামে ওই যুবক নিজেকে সুব্রত বক্সির জামাই বলে পরিচয় দিয়ে সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা প্রতারণা করেছে অনেকের সঙ্গে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি আনন্দপুর এলাকার এক বাসিন্দা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল দীপঙ্কর চাকরি দেওয়া প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর থেকে ৪ লাখ টাকা নিয়েছে। তৃণমূল সাংসদের জামাই হিসেবে পরিচয় দিয়ে সেই এই টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগে জানানো হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে আনন্দপুর এলাকা থেকেই দীপঙ্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার থেকে দুটি নীলবাতি লাগানো গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, এই চক্রে দীপঙ্কর ছাড়াও আরও অনেকে জড়িত। তাদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রতারণার অনেক দিন আগেই হাত পাকিয়েছে দীপঙ্কর। চাকরি পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের বরাত পাইয়ে দেওয়ার নামেও টাকা তোলার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। কত দিন ধরে সে প্রতারণা চক্র চালাচ্ছে এবং এখনও অবধি কত লাখ টাকা তুলেছে, তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। ধৃতকে জেরা করা হবে বলে জানা গিয়েছে। নানা তথ্যের খোঁজে দীপঙ্করকে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার প্রতারণা করে সে। তবে সেক্ষেত্রে পরিচয় ভাঁড়িয়ে প্রতারণা করে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। উল্লেখ্য, সুব্রত বক্সি কোনওদিন মন্ত্রী হননি। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় যেমন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হয়েছেন তেমনি রেশন দুর্নীতির ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তার মাঝেই এল দীপঙ্করের প্রতারণার ঘটনা। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনা নিয়ে শহরে তো বটেই, রাজ্য রাজনীতিতেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।