এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

‘বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট করে দিল্লিতে সরকার গড়ব’, প্রত্যয়ী মমতা

Courtesy - Twitter and Facebook

নিজস্ব প্রতিনিধি: ২৪’র ভোটে(General Elections 2024) কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) সরকার ও তাঁর দল বিজেপিকে(BJP) ধাক্কা দিতে দেশে তৈরি হয়েছে বিরোধী জোট INDIA। সেই জোট থেকে বিহারের নীতীশ কুমারের জনতা দল সংযুক্ত বেড়িয়ে গেলেও এখনও সেখানে ২৮টি দল রয়েছে। জোটে আছে কংগ্রেস, বাম ও তৃণমূলও। কিন্তু এই জোটে থাকা তৃণমূল সহ বেশ কিছু আন্দলিক দলগুলির সঙ্গে রাজ্যে রাজ্যে আসন বন্টন নিয়ে সমস্যার মুখে পড়েছে কংগ্রেস। যে রাজ্যে তাঁদের কোনও ক্ষমতাই নেই সেখানেও তাঁরা বেশি আসন চেয়ে বসছে। আর সেই কারণেই বাংলার মাটিতেই জোট হচ্ছে না কংগ্রেস ও তৃণমূলের(TMC) মধ্যে। বাংলার শাসক দল এরাজ্যে একাই লড়াই করবে। কিন্তু তারপরেও দেশ থেকে বিজেপির অপশাসনের অবসান ঘটানোর ঘোষণা করে দিলেন আত্মপ্রত্যয়ী তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সাফ জানালেন, ‘বাংলা জিতে আমরা দিল্লি দখল করবই।’

নীতীশ INDIA জোট ছাড়তেই অনেকেই দাবি করছেন এই জোট নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। বিজেপির জয়ের রাস্তা সাফ হয়ে গিয়েছে। বড় জয় নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় তৃতীয়বারের জন্য ফিরতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি। কিন্তু এদিন মমতা সেই সব জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছেন। সঙ্গে এটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন, কংগ্রেসের জন্যই রাজ্যে রাজ্যে জোট জটিলতা তৈরি হয়েছে যার মাশুল গুণতে হবে তাঁদেরও। আর সেই জোট জটিলতার পরেও কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী সরকার তৈরি হবে ২৪’র ভোটের পরে। সেখানে কংগ্রেস থাকুক বা না থাকুক, মমতা নিজে থাকবেন। তিনি নিজেই দেশের সরকার গড়ার রোড ম্যাপ এদিন নদিয়া জেলার শান্তিপুর থেকে ঘোষণা করে দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ‘আমরা জোট চেয়েছিলাম, কংগ্রেস করেনি। সিপিএম-কংগ্রেস জোট করে বিজেপির সুবিধা করছে। কিন্তু চিন্তা করবেন না। বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলিকে একজোট করে দিল্লিতের সরকার গড়বো। বাংলা জিতে আমরা দিল্লি দখল করবই।’ অর্থাৎ ২৪’র ভোটের পরে মমতার দাবি সঠিক হলে এই প্রথম আঞ্চলিক দলগুলির সরকার গড়ে উঠতে চলেছে।

মমতা এদিন নদিয়া জেলায় ছিলেন। সেখানে তিনি সকালে ২টি পদযাত্রা করেছেন। একটি কৃষ্ণগরে এবং অপরটি শান্তিপুরে। সেই শান্তিপুর যা একসময় কংগ্রেসের দুর্গ ছিল। প্রয়াত নেতা অজয় দে, দীর্ঘদিন এখানকার বিধায়ক ও পুরপ্রধান ছিলেন। যদিও সেই শান্তিপুরের পুরসভা ও বিধানসভা কেন্দ্র এখন তৃণমূলের দখলে রয়েছে। মুছে গিয়েছে কংগ্রেস। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এই শান্তিপুরের সভা থেকেই মমতা কংগ্রেসকে উহ্য রেখেই দেশে আঞ্চলিক দলগুলির জোট সরকার গড়ার রোড ম্যাপ তুলে ধরলেন। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, মমতার দেখানো রাস্তা খুব একটা ভুল নাও হতে পারে। যদি আঞ্চলিক দলগুলি নিজ নিজ রাজ্যে মাটি কামড়ে পড়ে থেকে বিজেপিকে লড়াই দিতে পারে তাহলে তাঁরা কেন্দ্রে সরকার গঠন করতেই পারে। বিশেষ করে তৃণমূল, সমাজবাদী পার্টি, আপ, শিবসেনা(উদ্ধব), এনসিপি, আরজেডি, ডিএমকে মিলে শক্তপোক্ত জোট গঠন করতেই পারে। তবে সেই জোট সরকারেরও প্রয়োজন হবে কংগ্রেস ও বামদলগুলির সমর্থন।

মমতা এদিন শান্তিপুর থেকে নিশানা বানিয়েছেন বিজেপিকেও। গতকাল রাতেই কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে গ্রেফতার হয়েছে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন। তারপরেই এদিন মমতা জানালেন, ‘ক্ষমতা থেকে চলে গেলে বিজেপির কী হবে? বিজেপি হল চোরেদের জমিদার। ভোটে জিতে সবাইকে জেলে ঢোকাচ্ছে। ক্ষমতায় আছে বলে এজেন্সি সঙ্গে করে নিয়ে ঘুরছে। সবাইকে জেলে পুরছে। আমাকেও জেলে পুরতে পারে। কিন্তু জেনে রাখুন আমি জেল ফুটো করে বেড়িয়ে আসবো। আমরা সবাই চোর, আর বিজেপি সাধু। সীমান্তে BSF অনেক অত্যাচার করছে। CAA-NRC নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বিজেপি। আমি বলে যাচ্ছি, আমি এখনও মরে যাইনি। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন বাংলায় CAA-NRC করতে দেব না। আপনারা গতবার রানাঘাটে বিজেপিকে জিতেয়েছিলেন। কী পেয়েছেন? টিকির দেখাও মেলে না। এবার কিন্তু আর ভুল করবেন না। রানাঘাটে আমাদের সমর্থন দিন।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মঙ্গলবার গঙ্গাধর মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

‘চিংড়ি পটল, চিংড়ি মালাইকারি খাবেন, আমি নিজে রেঁধে খাওয়াবো’, মোদিকে আমন্ত্রণ মমতার

ঝাড়গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভার আগে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু, হেলিপ্যাড পরিদর্শনে উচ্চ পদস্থ কর্তারা

‘বিজেপি বড়জোর ১৯৫টা আসন পাবে’, বনগাঁ থেকে ভবিষ্যৎবাণী মমতার

‘বিজ্ঞাপনের জন্য আমার নাম ব্যবহার করছে বিজেপি’, দাবি মমতার

FIR খারিজের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর