নিজস্ব প্রতিনিধি,পূর্ব বর্ধমান: শনিবারই আবহাওয়া দপ্তর রাজ্যজুড়ে আগামী কয়েকদিন ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছিল। উত্তর বাংলাদেশের উপর তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্ত ও বঙ্গোপসাগর থেকে বেশি মাত্রায় জলীয় বাষ্প ঢোকার কারণেই আবহাওয়ার এই পরিবর্তন বলে হওয়া অফিস জানিয়েছিল। এদিকে রবিবার সকালে আচমকা ঝোড়ো হাওয়ার দাপটে পূর্ব বর্ধমান জেলার(Purba Bardhaman District) জামালপুর ব্লকের মাঠ শিয়ালী এলাকার একটি বাড়ির অ্যাসবেষ্টসের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেল দমকা হাওয়া। হওয়ার দাপটে অমরপুর, শীয়ালী, মাঠ শিয়ালী, কোঁড়া প্রভৃতি এলাকায় প্রচুর গাছ ভেঙে পড়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। কোনভাবে ঘটনার হাত থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন জোৎশ্রীরাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি তপন কুমার দে।
রবিবার সকালে তপন দে দামোদর নদের উপর অমরপুরের অস্থায়ী কাঠের সেতু দিয়ে চার চাকা নিয়ে পার হচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা ঝোড়ো হাওয়ার ধাক্কায় সেতু থেকে গাড়ি সমেত তিনি পড়ে যান দামোদরের জলে। স্থানীয় মানুষ দেখতে পেয়ে ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করেন। তড়িঘড়ি আশঙ্কাজনক অবস্থায় পাঠানো হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে(Bardhaman Medical College Hospital)। রবি ও সোমবার দক্ষিণবঙ্গ(South Bengal) ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা আগাম জানিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তরবঙ্গ (North Bengal)ও দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বজ্রগর্ভ মেঘ সঞ্চার হতে শুরু করে। আর রবিবার সাত সকালে জামালপুরে ঝড়ের দাপট শুরু হয়ে যায়। যদিও বৃষ্টি সামান্যই হয়েছে।
আজ পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম,বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, দুই মেদিনীপুর জেলায় ঝড়বৃষ্টির কমলা সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। এই জেলাগুলির কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ঘন্টায় ৫০-৬০কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।রবি ও সোমবার কলকাতা(Kolkata) সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ঘন্টায় ৩০-৫০কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো বাতাস বইতে পারে। আপাতত তাপপ্রবাহের কোনও সতর্কবার্তা নেই। তবে আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বিশেষ কমবে না। তবে দুদিন তিনদিন পর তাপমাত্রা ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলে হওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে।