নিজস্ব প্রতিনিধি: তামিলনাড়ুর ওয়েলিংটনে সেনা ঘাঁটির উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে ছেলের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু বিকেলে সেই ছেলের কাছেই ফের ফোন গেলেও ওপার থেকে ভেসে এল দুঃসংবাদ। তামিলনাড়ুর কুন্নূরের কপ্টার দুর্ঘটনায় চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের সঙ্গে ছিলেন আরও ১৩ জন সেনা আধিকারিক। যার মধ্যে একজন হলেন, দার্জিলিংয়ের তাকদার বাসিন্দা সৎপাল রাই। বিপিন রাওয়াতের দেহরক্ষী ছিলেন তিনি। তাঁর স্ত্রী মন্দিরা রাই ও ছেলে বিক্কল রাই। ছেলেও রয়েছে ভারতীয় সেনাতে। দিল্লিতে কর্মরত।
ছেলেকে ওয়েলিংটন যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন বাবা সৎপাল রাই। তারপরেই কপ্টার উড়ে যাওয়ার মাঝেই তামিলনাড়ুরের নীলগিরি পাহাড়ের মধ্যে কুন্নুর জেলাতে ভেঙে পড়ে। সেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত সহ বাকি ১৩ জনের। সেই তালিকাতে রয়েছেন সেনানায়ক তথা বিপিন রাওয়াতের দেহরক্ষী সৎপাল রাইয়ের। বাবার মৃত্যুর খবর দিল্লিতে ছেলেকে পাঠানো হয়। সেখান থেকেই দার্জিলিং-এর তারকাতে দুঃসংবাদ পৌঁছায়। বুধবার রাতে দার্জিলিংয়ের এসপি সন্তোষ নিম্বালকর জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার পুলিশের তরফে সৎপালের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। সেইমতো বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ সৎপালের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।
সৎপালের স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যরা চাইছেন, শেষবারের মত তাঁর মরদেহ দেখতে। কিন্তু প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নির্দেশে বিপিন রাওয়াতের সঙ্গেই বাকি সেনার আধিকারিকদের পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পব্ব হবে দিল্লির সেনা ছাউনিতে।