নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হতেই কড়া বিধিনিষেধের পথে হেঁটেছে রাজ্য সরকার। স্কুল-কলেজের সঙ্গে সুইমিং পুল, স্পা, জিম-সহ সেলুনও বন্ধ রাখার নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সেই সঙ্গে জানানো হয়েছিল, সন্ধ্যে ৭টার পর আর চালানো যাবে না লোকাল ট্রেন। কিন্তু এরপরই নিত্যযাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। শেষ ট্রেন কখন ছাড়বে সেটা নিয়েই হুলুস্থুলু দেখা গিয়েছিল শিয়ালদা, দমদম বা হাওড়া স্টেশনের মতো ব্যস্ত স্টেশনে। সোমবার বিকেলেই এই চিত্র দেখে নড়েচড়ে বসে নবান্ন। দ্রুই সিদ্ধান্ত বদলে সন্ধ্যে ৭টার পরিবর্তে রাত ১০টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চালানোর নির্দেশিকা জারি হয়। লোকাল ট্রেনের সময়সীমা পরিবর্তন হতেই এবার সেলুনের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে খোলা রাখার আবদন জানিয়ে পথে নামলেন সেলুন মালিকরা।
তাঁদের দাবী শপিংমলের মতো তাদেরও একটি নির্দিষ্ট সময়ে সেলুন খোলা রাখার অনুমতি দিক সরকার। না হলে কার্যত না খেয়ে মরতে হবে তাঁদের। করোনা সংক্রমণ রুখতে একাধিক বিধিনিষেধের মধ্যে বিউটি পার্লার ও সেলুন বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে সরকারি নির্দেশিকায়। আর এতেই চরম সমস্যায় পরেছেন রাজ্যের প্রায় কয়েক হাজার ক্ষৌরকার। তাঁদের নির্দিষ্ট সময়ে সেলুন খুলতে দেবার পাশাপাশি আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানিয়ে সোমবার রাতে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় স্মারকলিপি দিল জলপাইগুড়ি জেলার ক্ষৌরকার সমিতি।
সংগঠনের তরফে চন্দন মিত্র, মহেশ ঠাকুর জানান, আমরা করোনা রুখতে মুখ্যমন্ত্রীর যে নির্দেশ তাকে সমর্থন করছি। কিন্তু শপিংমল বা অন্যান্য অনেককিছু একটি নির্দিষ্ট সময়ে খোলা রয়েছে। গত দু বছর ধরে লকডাউনের ফলে আমরা এমনিতেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। তাই আমরা চাই সরকার একটি নির্দিষ্ট সময়ে আমাদের সেলুন খোলা রাখার অনুমতি দিক। এর পাশাপাশি আমাদের পরিবারের সদস্যদের কথা ভেবে আর্থিক সহযোগিতা করুক রাজ্য প্রশাসন।