এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সন্ধ্যা গড়ালেই উধাও হচ্ছে বাস! নাকাল জনতা

নিজস্ব প্রতিনিধি: এক আধ দিন নয়, গত এক সপ্তাহ ধরেই এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। শুধু যে দেখা যাচ্ছে তাই নয়, প্রতিদিন কমতেও দেখা যাচ্ছে। আর তাতেই সন্ধ্যা গড়ালেই বাড়ি ফিরতে নাকাল হচ্ছেন আমজনতা। কারন রাস্তায় দেখা মিলছে না বাসের। নিত্যদিনই দেখা যাচ্ছে বাদুড়ঝোলা বাসে হয় মানুষ বাড়ি ফিরছেন না হলে শাটল ট্যাক্সি বা অটো বদল করে গন্তব্যের পথে এগোচ্ছেন বাড়তি খরচ করে। কলকাতার পাশাপাশি বাসের এই আকাল দেখা যাচ্ছে সল্টলেক, নিউটাউন, হাওড়া এবং দক্ষিণ শহরতলি এলাকায়। অনান্য সময়ে যেখানে ৩ থেকে ৪ মিনিট অপেক্ষা করলেই বাসের দেখা মেলে সেখানে ৩০ মিনিট দাঁড়িয়েও বাসের দেখা মিলছে না। সন্ধ্যা ৭টার পর থেকেই রাস্তা থেকে কার্যত উধাও হয়ে যাচ্ছে বাস। যার জেরে চূড়ান্ত দুর্ভোগের মুখে পড়ছেন অফিস থেকে বাড়ি ফিরতে চাওয়া মানুষজন।

প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছিল গঙ্গাসাগর মেলার জন্য প্রশাসনের তরফে বাস তোলা হয়েছে বলে রাস্তায় বাসের আকাল দেখা দিয়েছে। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসনের দাবি, ৮০০’র মতো বেসরকারি বাস নেওয়া হলেও রাস্তায় বাসের সংখ্যা এত কমে যাওয়ার কথা নয়। প্রশাসনের এই মতকে সমর্থন জানিয়েছেন নানা বাসমালিক সংগঠনের নেতারাও। তাহলে কেন কমে যাচ্ছে বাস? বাস মালিকদের দাবি, বাসে যাত্রী সংখ্যা খুবই কমে গিয়েছে। তার জেরেই সন্ধ্যা গড়ালেই বাস আর রাস্তায় নামাতে চাইছেন না বাসকর্মীরা। এই বিষয়ে ‘মিনিবাস অপারেটর্স কোঅর্ডিনেশন কমিটি’র সাধারণ সম্পাদক স্বপন ঘোষ জানিয়েছেন, ‘সংক্রমণ নিয়ে আশঙ্কা বেড়েছে। তার মধ্যে স্কুল-কলেজ, অফিস অনেক কিছুই বন্ধ। একটি ট্রিপে সাকুল্যে ৫০-৬০ জন যাত্রীও মিলছে না। তাই ক্ষতির আশঙ্কায় অনেকেই সন্ধ্যার পর আর রাস্তায় বাস নামাতে চাইছেন না।’ এই মতকে সমর্থন জানিয়েছেন, ‘বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’র সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায়ও।

‘সিটি সাবার্বান বাস সার্ভিস’-এর টিটু সাহা আবার ভিন্ন কারন তুলে ধরেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বারুইপুর, সোনারপুর-সহ একাধিক অঞ্চলে বাজারহাট প্রশাসনের নির্দেশে বন্ধ থাকছে। এর ফলে যাত্রী আরও কমেছে। উত্তর শহরতলিতেও দোকান বাজার বন্ধ রাখা হচ্ছে। ফলে লোকে বাড়ি থেকে কম বার হচ্ছেন। বাস চালিয়ে তেলের খরচও উঠছে না। বাস চালিয়ে আয় না হওয়ায় বহু রুটের বাসই সপ্তাহে দু’-তিন দিন অন্তর পালা করে চলছে। তাতেও বাসের সংখ্যা কমেছে। এর থেকে সামগ্রিক ভাবে লকডাউন হলে ভাল হত। তাতে অন্তত বিমার খরচ এবং গাড়ির জ্বালানি খাতে বিপুল লোকসানের ভার খানিকটা কমত।’ যদিও পরিবহণ দফতরের দাবি, মানুষের মধ্যে কোভিড নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। তাই অনেকেই বাড়ি থেকে কম বার হচ্ছেন। কিন্তু আমজনতার অভিযোগ, মানুষ যদি কম বার হন তাহলে সন্ধ্যা গড়ালেই বাসে বাদুড়ঝোলা ভিড় হচ্ছেন কেন? সরকারি বাসে কীভাবে সবসময়েই ভিড় হচ্ছে? আসলে বাস কমিয়ে বাস ভাড়া বাড়ানোর জন্য ফের নাটক শুরু করেছেন বাস মালিক থেকে বাস মালিকদের সংগঠনের নেতারা। এরা মুখে এক কথা বলছেন বাস্তবে করছেন তার উল্টো। ইচ্ছাকৃত ভাবে বাস বসিয়ে দিয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চাইছে বাস ভাড়া বাড়ানোর জন্য।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

প্রতিপক্ষের নাম ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিরোধীরা

তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুন, বাগুইহাটিতে ছড়িয়েছে উত্তেজনা

২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার সুপ্রিম শুনানি সোমবার

সিটি সেন্টারে ভোটদানে উৎসাহ প্রদান প্রশাসনের, তৈরি সেলফি জোন

রবিবার কলকাতা তেঁতে পুড়ে যাবে, উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় ঝড় -বৃষ্টির পূর্বাভাস

এবার আর Vote Boycot’র ডাক দিচ্ছে না Smart City Newtown

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর