নিজস্ব প্রতিনিধি, যশোর: বিদেশ-বিভুঁই থেকে ডাক্তারি পড়তে এসেছিলেন। দেশের মাটিতে ফিরছেন নিথর হয়ে। বুধবার সকালে যশোরের বেসরকারি মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজের হস্টেলের পঞ্চম তলার শৌচালয় থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সীমা জোহর নামে এক কাশ্মীরী পড়ুয়ার মৃতদেহ। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কী কারণে ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হলেন, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘এদিন ভোরে মেডিকেল কলেজের হস্টেলের পঞ্চম তলার শৌচালয়ে ওই ছাত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান অন্যান্য পড়ুয়ারা। বিষয়টি জানানো হয় হস্টেলের হাউজ কিপারকে। তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরে বিষয়টি আনেন। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ গিয়ে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে যশোর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা সীমা জোহরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’
আদ-দ্বীন মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কামালউদ্দিন জানিয়েছেন, আত্মঘাতী পড়ুয়ার বাড়ি কাশ্মীরের বদগাঁও জেলার যাবারপুরে। ইতিমধ্যে সীমার আত্মঘাতী হওয়ার খবর তাঁর বাবা গোলাম মহম্মদকে জানানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার অনুমতি দিলে আত্মঘাতী পড়ুয়ার দেহ তাঁর বাড়িতে পাঠানো হবে।’
কোনও সুইসাইড নোট লিখে না রেখে গেলেও আত্মঘাতী পড়ুয়ার সহপাঠীরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সীমা। দীর্ঘদিন বাড়িতে যেতে না পারার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে প্রচুর পরিমাণ কাশ্মীরী ছাত্র-ছাত্রী অধ্যয়নরত। ভারতের তুলনায় পড়াশোনার খরচ কম হওয়ার কারণেই বাংলাদেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে তাঁরা পড়াশোনার জন্য ভর্তি হন।