নিজস্ব প্রতিনিধি: কোভিডের হরেক ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে ওমিক্রণ ততটা মারাত্মক নয়। অন্তত বিশেষজ্ঞদের তেমনটাই দাবি। তাই তাঁরাও এবার জানিয়েছেন, যেহেতু দেশজুড়ে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে তাই স্কুলের দরজাও এবার পড়ুয়াদের জন্য খুলে দেওয়া যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের এই অভিমতে ভর দিয়েই আগামী সোমবার থেকেই মহারাষ্ট্র এবং মুম্বইয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় বাংলায় কবে থেকে স্কুল খুলবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল অভিভাবক মহলে। এবার সেই লক্ষ্যেই পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর মিলেছে ফেব্রুয়ারি মাসেই রাজ্যের সব স্কুল খুলে দেওয়া হতে পারে। তবে গোটা বিষয়টি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফেও ইতিমধ্যেই স্কুল খোলার তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার এ প্রসঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠিও দিয়েছেন তাঁরা। প্রাথমিক ভাবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খোলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা দফতরের সেই প্রস্তাব খতিয়ে দেখবে বিশেষজ্ঞ কমিটি। একই সঙ্গে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত নেওয়া হবে। কোভিড পরিস্থিতির জেরে প্রায় দেড় বছরেরও বেশি সময় স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বন্ধ ছিল। মাঝে কিছু দিনের জন্য রাজ্যে দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল খুলেছিল। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও খুলেছিল। কিন্তু নভেম্বরের শেষ থেকে কোভিডের সংক্রমণ আবারও বাড়তে থাকায় ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠাগুলির দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রাজ্যের এখন নানান মহল থেকে দাবি উঠেছে যাতে দ্রুত সব স্কুল খুলে দেওয়া যায়। তাঁদের বক্তব্য, কোভিড পরিস্থিতির জেরে গত দুই বছর ধরে রাজ্যের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পঠনপাঠন বন্ধ রয়েছে। এর জেরে যে ক্ষতি হয়েছে তা কার্যত অপূরণীয়। এখন কোভিডের প্রকোপ ফের কমতে শুরু করেছে। তাই দ্রুত স্কুলগুলি খুলে দিয়ে সেখানে পঠনপাঠন চালু করে দেওয়া প্রয়োজন। নাহলে পড়ুয়ারাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি প্রতিদিন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। রাজ্য সরকারও স্কুল খুলতে চায়। তবে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রীই।