নিজস্ব প্রতিনিধি: পরকীয়ায় সর্বনাশা। সুখের সংসার ছেড়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল হাওড়ার লিলুয়ার যুবকের। বাড়ি থেকেই তুলে নিয়ে গিয়ে ঝাড়খণ্ডের তোপচাচিতে খুন করা হয়েছে লিলুয়ার বাসিন্দা বুদ্ধেশ্বর সাউকে। ঘটনায় শোকের ছায়া মৃতের পরিবারে। হাওড়ার লিলুয়া’র ভট্টনগরের বাসিন্দা বিশ্বনাথ সাউয়ের স্ত্রীর কুসুম দেবীর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বুদ্ধেশ্বর। যা নিয়ে সংসারে দীর্ঘদিন অশান্তি চলছিল। মাঝে মাঝেই স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বাপের বাড়ি গিয়ে থাকতেন বুদ্ধেশ্বরের স্ত্রী।
সেরকমই গত বুধবার বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন বুদ্ধেশ্বরের স্ত্রী। তখন থেকেই নিখোঁজ ছিলেন হাওড়ার যুবক। দু’দিন বাদে নিজের স্ত্রীয়ের মোবাইলে বুদ্ধেশর বার্তা পাঠান, ‘মেরে জান খাতরে মে হ্যায়’। তারপরেই স্বামীর তল্লাশি শুরু করেন স্ত্রী। কিন্তু কোথাও না পেয়ে লিলুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বুদ্ধেশ্বরের স্ত্রী। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে লিলুয়া থানার পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, স্ত্রীয়ের সঙ্গে পরকীয়ার জেরেই স্বামী বিশ্বনাথ সাউ ও তাঁর দুই আত্মীয় পঙ্কজ সাউ ও সুনীল সাউ গাড়ি করে তুলে নিয়ে যায় বুদ্ধেশ্বরকে। ঝাড়খণ্ড নিয়ে গিয়ে খুন করে দেহ লোপাটের চেষ্টা করে।
তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে লিলুয়া থানার পুলিশ। জেরায় সমস্ত শিকার করেছেন বিশ্বনাথ সাউ। পরকীয়ার কারণেই এই ঘটনা বলে জানিয়েছেন বিশ্বনাথ। তোপচাচি থেকে মৃত বুদ্ধেশ্বরের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধৃতদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে লিলুয়া থানার পুলিশ।