নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলা ক্যালেন্ডার বলছে চৈত্র মাস পড়ে গিয়েছে। তবুও সময়টা বসন্তকাল। আর এই বসন্তে কলকাতার(Kolkata) বুকেও পারা খুব একটা চড়ে না। অথচ এবার সেই হিসাব আর মিলছে না। চৈত্রের শুরুতেই পারা চড়তে শুরু করে দিয়েছে বাংলার(Bengal) পাশাপাশি খাস কলকাতাতেও। মঙ্গলবার ছিল চৈত্র মাসের প্রথম দিন। আর সেই দিনেই কিনা কলকাতা ছুঁয়ে ফেলল পুরুলিয়াকে! আবহাওয়া দফতরের খবর, মঙ্গলবার কলকাতা এবং পুরুলিয়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল একই, ৩৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মহানগরের থেকে পিছনে রয়েছে পানাগড়, আসানসোল, শ্রীনিকেতনের মতো পশ্চিমী এলাকাগুলি। রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের এলাকাগুলিতে এমন তাপমাত্রা(Temperature) মার্চের মাঝামাঝি বিরল নয়। কিন্তু কলকাতায় এমন গরম শেষ কবে দেখা গিয়েছে তা অনেকেই মনে করতে পারছেন না।
আবহাওয়ার রিপোর্টকার্ড বলছে সোমবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে কলকাতায় পারা চড়েছে ৩ ডিগ্রি। মানে ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বেড়ে গিয়েছে কলকাতায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দাবি, আগামী ৭২ ঘন্টায় আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে চলেছে। মানে দোলের দিন খাস কলকাতায় পারা চড়তে পারে ৩৮ কী ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর এখানেই প্রশ্ন, বসন্তের(Spring) শেষেই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে ভরা গ্রীষ্মে(Summer) পারা কত চড়বে কলকাতায়! উদ্বেগের ছবি আরও আছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দাবি, শুধু সর্বোচ্চ তাপমাত্রাই বাড়বে তাই নয়, বাড়বে সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও। বুধবার ভোরে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কিন্তু আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যেও সেখানে বাড়বৃদ্ধি চোখে পড়তে চলেছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অনুমান, বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রাতারাতি ৩ ডিগ্রি বেড়ে ২৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়ে ফেলতে পারে।
দেশের নানা প্রান্তে চোখ বোলালে দেখা যাবে ইতিমধ্যেই ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা পৌঁছেছে গুজরাটের বেশ কিছু এলাকায়। এছাড়াও পশ্চিম রাজস্থান , কঙ্কন , কেরালা সহ বেশকিছু রাজ্যে তাপমাত্রা এখনই ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। কিন্তু ভরা বসন্তে কলকাতার পারা কখনই ৪০ ছুঁই ছুঁই হয়নি যেটা এবারে দেখা যাচ্ছে। মার্চের শেষে কলকাতায় একাধিক বার পারা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে! কিন্তু মার্চের মাঝামাঝি সময়ে এরকমটা এর আগে স্মরণাতীত কালে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলির মতো খাস কলকাতাতেও দুপুরে শুকনো গরম হাওয়া গায়ে লাগছে। বিকালে মাটি থেকে রীতিমত ভাপ বার হচ্ছে। এখনই যদি এই অবস্থা হয় তাহলে এপ্রিল-মে মাসে কী হবে সেটা ভেবেই উদ্বিগ্ন বঙ্গবাসী।