আন্তর্জাতিক ডেস্ক: একসময় তিনি ছিলেন আফগানিস্তানের অর্থমন্ত্রী। শাসন ক্ষমতায় পালাবদলের পর স্ত্রী-পুত্র পরিবার নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন আমেরিকায়। পেট চালাতে দরকার অর্থের। শুধু তো নিজে বাঁচলেই হবে না। বাঁচাতে হবে পরিবারকে। তাই, উবের চালানোর সিদ্ধান্ত নিলেন খালিদ পায়েন্ডা। ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে খালিদ জানিয়েছেন, ‘পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সময় লেগেছিল। কিন্তু কিছু করার ছিল না। বেঁচে থাকতে হবে। তাই, উবের চালানোর সিদ্ধান্ত নিই।’
গত ১০ অগাস্ট আফগানিস্তানের অর্থমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন খালিদ। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে টুইট করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী লেখেন, ‘আজ আমি অর্থমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। অর্থমন্ত্রকের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পাওয়া আমার কাছে অত্যন্ত সম্মানের। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি আমায় পদত্যাগ করতে বাধ্য করছে। পরিবারকে সময় দিতে হবে।‘
তালিবান যেদিন কাবুল দখল করে, সেদিন বিশ্ব ব্যাঙ্কের উদ্দেশ্যে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে একটি আবেগপূর্ণ বার্তা পোস্ট করেন। পোস্টে তিনি লেখেন, ‘গত ২০ বছর গোটা বিশ্ব আমাদের সমর্থন জানিয়ে এসেছিল। তৈরি করেছিলাম একটি পদ্ধতি বা প্রক্রিয়া, যে প্রক্রিয়ায় সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ উপকৃত হবে। কিন্তু বুঝতে পারিনি, যেটা তৈরি করছি, সেটা আসলে একটা তাসের ঘর। বুঝতে পারিনি, যে বাড়িটা তৈরি করছিল, তার ভিত দুর্নীতির ওপর দাঁড়িয়ে। যখন বুঝলাম, তখন আর কিছু করার ছিল না। ‘
আফগানিস্তানের পরিস্থিতির জন্য তিনি আমেরিকাকে দায়ী করেন। বলেন, বাইডেন প্রশাসন আচমকা সেনা প্রত্যাহার করায় সেখানকার পরিস্থিতি আচমকাই বদলে যায়।