নিজস্ব প্রতিনিধি: দুই বন্ধুকে নিয়ে নিজের মূক ও বধির স্ত্রীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) জেলার বহরমপুর সদর মহকুমার নওদা(Nowda) থানা এলাকার কামাদপুর গ্রামে। শনিবার রাতের ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে ঘটনার মূল অভিযুক্ত তথা নির্যাতিতার স্বামী মানারুল হক। গ্রেফতার হয়েছে ঘটনার আরও এক অপরাধী তথা মানারুলের বন্ধু শারিফুল খান। বাকি আরও এক অপরাধীর সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ(Police)। সোমবার দুই অভিযুক্তকে বহরমপুর জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪ দিনের জন্য জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জানা গিয়েছে, কামাদপুর গ্রামের বাসিন্দা মানারুলের সঙ্গে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় নির্যাতিতার। সেই সময় নির্যাতিতার বাপের বাড়ি থেকে ১০ কাঠা জমি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, সেই জমি বিক্রি করে দিয়েছে মানারুল। জমি বিক্রির টাকা দিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে ফূর্তি করে উড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে মানারুলের বিরুদ্ধে। এরপর এখন সে নির্যাতিতার ওপর নতুন করে চাপ দিতে শুরু করেছিল বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য। কিন্তু তা না করায় গত শনিবার রাতে মানারুল দুই বন্ধুকে নিয়ে বাড়িতে আসে ও নির্যাতিতাকে দফায় দফায় গণধর্ষণ করে। রবিবার সকালে নির্যাতিতা কোনওরকমে বাপের বাড়িতে গিয়ে সব ঘটনা জানায়। তারপর দুপুরের মধ্যেই নওদা থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। রাতেই গ্রেফতার হয় দুই অভিযুক্ত। এরপর এদিন সকালেই তাদের তোলা হয় আদালতে।
এই ঘটনার জেরে রাজ্য প্রতিবন্ধী সম্মেলনীর জেলা সহ-সম্পাদক মাজেদ আলি তীব্র প্রতিবাদ করে জানিয়েছেন, ‘ওই প্রতিবন্ধী গৃহবধূকে যেভাবে নির্যাতন করা হয়েছে, তা পাশবিক। অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে পুলিশকে। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে আমাদের সংগঠন।’ এদিন ওই নির্যাতিতার মেডিকেল টেস্ট করার জন্য বহরমপুর শহরে থাকা মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। সূত্রে জানা গিয়েছে সেখানে নির্যাতিতার দেহে গণধর্ষণের একাধিক চিহ্ন মিলেছে।