নিজস্ব প্রতিবেদক: করতে গিয়েছিলেন হকারদের উচ্ছেদ করতে। কিন্তু বিক্ষোভের জেরে অবশেষে পিছু হঠতে বাধ্য হল রেল পুলিশ। হুগলি স্টেশনে শুক্রবার আরপিএফ এর বিশাল বাহিনী হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন।
আরপিএফের কর্মীরা তাদের ওপর জুলুম করছে, এই অভিযোগে বুধবার বেলুড় স্টেশনে রেল অবরোধ করেছিলেন হকাররা। শুক্রবার হুগলি স্টেশনে হকার উচ্ছেদ করতে গিয়ে ফের তাঁদের বিক্ষোভের মুখে পড়ল আরপিএফ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে হুগলি স্টেশনে হকার উচ্ছেদ করতে আসে আরপিএফ এর বিশাল বাহিনী। ব্যান্ডেল আরপিএফ-এর ইন্সপেক্টর রাজীব রাঠির নেতৃত্বে লাঠি ঢাল নিয়ে বেলুর ব্যন্ডেল শেওড়াফুলি থেকে সাড়ে এগারোটা নাগাদ হুগলি স্টেশনে হাজির হয় আরপিএফ। প্ল্যাটফর্ম থেকে দুটি ভেন্ডর স্টল তুলে দূরে ফেলে দেয় আরপিএফ কর্মীরা। এরপর উত্তেজনার পারদ ছড়িয়ে পরে। স্টেশনে জড়ো হন কয়েকশো হকার। প্ল্যাটফর্মের হকারদের সঙ্গে যুক্ত হন ট্রেনের হকাররাও। তাঁরা সম্মিলিত ভাবে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আরপিএফ এর বিরুদ্ধে। আরপিএফ এর সামনেই ফেলে দেওয়া স্টল তুলে আবার প্লাটফর্মে বসিয়ে দেন হকাররা। আরপিএফ লাঠি চার্জ করলে অথবা জোর জুলুম করলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনরত হকাররা। বিক্ষোভে স্লোগান ওঠে রেল পুলিশের বিরুদ্ধে। বিক্ষোভের মুখে পড়ে অবশেষে পিছু হঠে আরপিএফের বিশাল বাহিনী। হকারদের অভিযোগ, যখন তখন তাদেরকে জরিমানা করা হচ্ছে। আরপিএফ কর্মীরা জবরদস্তি তাঁদের বিরুদ্ধে প্রায়ই ক্রিমিনাল কেস দিচ্ছে। ট্রেনে হকারি করে যেসব মানুষের রুজি রুটি চলে , তাদের উপর জুলুম করছে বলে দাবি তাঁদের। এদিন হুগলি স্টেশনে ঘন্টা খানেক ধরে বিক্ষোভ দেখান হকাররা।
এর আগে বুধবার বেলুড় স্টেশনে হকাররা রেল অবরোধ করেন। তাঁদের অভিযোগ, বেলুড় স্টেশনে রোজই আরপিএফের হেনস্তার মুখে পড়তে হচ্ছে তাঁদের। যখন-তখন তাঁদের জরিমানা করা হচ্ছে। কখনও কখনও জোর করে আটক করে রাখা হচ্ছে। ফলে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। সংসার চালাতে রুটিরুজির পথ বন্ধ করে দিলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন হকাররা।