নিজস্ব প্রতিনিধি: এবারেও সিবিআই- এর দফতরে গিয়ে হাজিরা দিলেন না অনুব্রত। কারণ দর্শালেন অসুস্থতা। রবিবার তাঁকে সিবিআই (CBI) তলব করেছিল সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। তবে তিনি অসুস্থ থাকায় সিবিআই দফতরে গিয়েছিলেন আইনজীবী সঞ্জিত দাঁ। এদিন অনুব্রতকে তলব করা হয়েছিল ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায়। গত শনিবারেও তলব করা হয়েছিল কেষ্টকে। সেই মামলা ছিল গরু ও কয়লা পাচার সংক্রান্ত। কিন্তু এদিন অনুব্রত হাজিরা না দেওয়ায় সিবিআই তাঁকে নিয়ে আলাদা করে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে, বলে সূত্রে জানা গিয়েছে। সংস্থার লিগ্যাল সেলের সঙ্গে তাঁরা এই বিষয়ে আলোচনা করছেন। প্রয়োজনে অনুব্রতকে গ্রেফতার করে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে এইমস হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা করানোর পাশাপাশি তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিবিআই।
১৬ দিন পর উডবার্ন থেকে ফিরেছিলেন অনুব্রত। তার একদিনের মধ্যেই তলব করা হয়েছিল বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। তলব করা হয়েছিল ২ টি মামলায়। একটি গরু ও কয়লা পাচার সংক্রান্ত। অপরটি ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায়। গরু ও কয়লা পাচার কাণ্ডে তাঁকে তলব করা হয়েছিল গত শনিবার। আর রবিবার তলব করা হয়েছিল গরু ও কয়লা পাচার মামলায়। শনিবারের তলব করা হয়েছিল নিজাম প্যালেসে। তবে তিনি অসুস্থ বলে হাজির হননি ওইদিন। উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। রবিবারেও তিনি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা দেননি। তাঁর আইনজীবী সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে জানান, অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাঁটতে বারণ করেছেন চিকিৎসকরা। ৪ সপ্তাহ বিশ্রাম নিতে বলা হয়েছে। সিবিআইয়ের কাছে ৪ সপ্তাহ সময় চেয়ে ই-মেল পাঠাবেন অনুব্রত। চাইলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা তাঁকে চিনার পার্কের বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। শনিবারেও একই কথা জানিয়েছিলেন আইনজীবী। গত শনিবার তাঁকে তলব করা হয়েছিল বিকেল সাড়ে ৫ টায়। আর রবিবার তলব করা হয়েছিল দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে। সূত্রের খবর, তাঁকে দুটি মামলায় কী কী প্রশ্ন করা হবে তা সাজিয়ে নিয়েছে সিবিআই। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাও কথা বলছে তাঁদের আইনজীবীদের সঙ্গে। বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায় কি না, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।