এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দাবদাহ থেকে বাঁচতে শীঘ্রই রাজ্যে ‘মর্নিং স্কুল’

নিজস্ব প্রতিনিধি: সূর্যের প্রখর তাপে কার্যত পুড়ছে বাংলা। রাজ্যের ১১টি জেলায় তৈরি হয়েছে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি। এমনকি ইতিমধ্যেই রাজ্যে সানস্ট্রোকে ২ জনের প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটেছে। এই অবস্থায় বাংলার সব জেলাতেই দাবি উঠছিল কচিকাঁচা থেকে কিশোর-কিশোরীদের কথা ভেবে স্কুলগুলি যেন সকালের দিকে এগিয়ে আনা হয়। সেই দাবিই সোম সন্ধ্যায় মেনে নিয়েছে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দফতর। বিকাশ ভবন(Bikash Bhawan) থেকে সোম সন্ধ্যাতেই জারি হয় বিশেষ নির্দেশিকা যাতে স্পষ্টতই বলে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সব প্রাথমিক, এসএসকে, এমএসকে থেকে উচ্চ প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক— সব স্তরেই ‘মর্নিং স্কুল’(Morning School) অর্থাৎ সকালে স্কুল চালু করতে হবে। সব ক্লাস যাতে নির্দিষ্ট সময়ে হয়, তা নিশ্চিত করার যাবতীয় দায়িত্ব নিতে হবে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরই(Teachers)। কবে থেকে সকালে স্কুল চালু হবে, নির্দেশিকায় সেটা স্পষ্ট করা না হলেও আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার থেকেই তা যাতে লাগু হয় সেটা মৌখিক ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রে জানা গিয়েছে।  

বিকাশ ভবন থেকে জারি হওয়া নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে কোনও স্কুল যদি ‘মর্নিং স্কুল’ হয়ে উঠতে না-পারে অর্থাৎ সকালে পঠনপাঠন চালু করতে না-পারে, সে-ক্ষেত্রে গরম থেকে রক্ষা পেতে পড়ুয়াদের কী কী করতে হবে এবং স্কুলকে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, স্বাস্থ্য অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করে তা ঠিক করতে হবে। একইসঙ্গে গরমের মোকাবিলা করার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর এবং বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ‘গাইডলাইন’ বা নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে। শিক্ষা শিবিরের পর্যবেক্ষণ, দীর্ঘস্থায়ী অতিমারিতে শিক্ষার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পরে এখনই ফের স্কুলে ছুটি না-দিয়ে পড়াশোনা যথাসম্ভব এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যেই এই ব্যবস্থা। তবে এই নির্দেশিকা জারি করার পরেও গ্রীষ্মের ছুটি এগিয়ে আনার দাবি কিন্তু থামছে না। কেননা জান গিয়েছে, বহু প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাই গরমের ছুটি এগিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, তীব্র দহনের মধ্যে নিয়মিত ক্লাস করতে ছাত্রছাত্রীরা রীতিমত কষ্টের মুখে পড়ছে। পড়ুয়া(Students) থেকে পরীক্ষার্থী, সকলেরই হাঁসফাঁস দশা। অসুস্থও হয়ে পড়ছে অনেকে। কোথাও কোথাও স্কুল চলাকালীন লোডশেডিংও হয়ে যাচ্ছে। দুঃসহ গরমে শরীরে জল কমে গিয়ে দেখা দিচ্ছে ‘ডিহাইড্রেশন’-এর সমস্যাও। এর মধ্যে জলকষ্টের অভিযোগও উঠেছে অনেক স্কুলে।

তবে বুধবার থেকে ‘মর্নিং স্কুল’ চালু হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। কেননা এখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। অচিরেই শুরু হতে চলেছে বিভিন্ন শ্রেণির ‘ফার্স্ট সামেটিভ’ বা প্রথম সামগ্রিক মূল্যায়ন। যা চলবে ৭ মে পর্যন্ত। সুতরাং তার আগে গরমের ছুটি দেওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছেন অনেকেই। এর সঙ্গে রয়েছে একাদশের প্র্যাক্টিক্যাল পরীক্ষাও। সরকারি স্কুলে এ বার গরমের ছুটি পড়ার কথা ২৪ মে। চলবে ৪ জুন পর্যন্ত। অর্থাৎ গরমের ছুটি ধার্য করা হয়েছে মাত্র ১১ দিন। প্রশ্ন উঠছে, এখনই যা অবস্থা, গরমের ছুটির(Summer Holiday) জন্য কি ২৪ মে পর্যন্ত অপেক্ষা করা যাবে? গত বছর করোনা পরিস্থিতি একটু ভাল হওয়ার পরে স্কুল খুলেছিল। কিন্তু ফের করোনা এবং তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গরম বাড়ায় আগেভাগেই গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তারও আগে ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ সালে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হয়েছিল অনেকটাই। পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, ‘কোনও বারেই তো এত দেরি করে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হয় না। তাই আগাম গরমের ছুটি দিতে অসুবিধা হয় না। প্রথম সামগ্রিক মূল্যায়নও আগে হয়ে যায়। এ বার তো সবই দেরিতে চলছে। তবে প্রথম সামগ্রিক মূল্যায়নের পরেই গরমের ছুটি দিয়ে দেওয়া যায় কি না, সেটা ভেবে দেখা দরকার।’

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

অবশেষে পুলিশের হাতে এল  রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ

আজ অভিষেকের মনোনয়ন দাখিল, জানা যাবে সম্পত্তির পরিমাণ

ঢোকঢোল পেটানোই সার! প্রকাশ করা হল না রাজভবনের অন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ

মানিকতলা বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে কাটল জট, কল্যাণ চৌবের মামলা প্রত্যাহারে অনুমতি হাইকোর্টের

‘বিচারব্যবস্থায় মেরুদণ্ড সোজা রাখা লোকজন রয়েছে বলে দেশটা বেঁচে রয়েছে’

দুপরেই আকাশ কালো করে কলকাতায় শিলা বৃষ্টি, বিপর্যস্ত জনজীবন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর