নিজস্ব প্রতিনিধি: নাবালিকাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল এক কিশোর। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি ১৬ বছরের নাবালিকা। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় উল্টে ওই মেয়েটিকে অপমান করা হয় বলে অভিযোগ, আর তার জেরে আত্মঘাতী হয় ১৬ বছরের ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ঘুটিয়ারি শরিফ এলাকায়। কিশোরীর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে ঘর থেকে নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ঘুটিয়ারি শরিফের বিদ্যাধরী পল্লীর বাসিন্দা ১৬ বছর বয়সী ওই নাবালিকা। মৃত নাবালিকার পরিবারের অভিযোগ, প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাদের বাড়িতে ঢুকে ওই কিশোরীকে অপমান করে কয়েকজন যুবক। এর পর সেই অপমান সহ্য করতে না পেরেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোরী। এই ঘটনার খবর দেওয়া হয় ঘুটিয়ারি শরিফ পুলিশ ফাঁড়িতে। স্থানীয় তিনজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বাড়ির ভিতর থেকে ওই নাবালিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় এক কিশোর কয়েক মাস আগে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল নাবালিকাকে। কিন্তু মেয়েটি রাজি না হওয়ায় বারবার তাকে বিরক্ত করছিল ধরেই ওই কিশোরের বন্ধুরা। সোমবার রাতে এক দূর সম্পর্কের দাদুকে সঙ্গে নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে আসে অভিযুক্ত কিশোর। বাড়িতে এসে নাবালিকাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে অপমান করে দাদু ও নাতি। অভিযোগ এই অপমান সহ্য করতে না পেরে পরদিন আত্মহত্যা করেন নাবালিকা। মঙ্গলবার বাড়ির লোকজন কাজে বেরিয়ে গেলে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। এই ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করে কিশোরীর পরিবার। ঘটনার তদন্তে নেমেই ওই কিশোর ও তার দাদু মনোরঞ্জন হালদারকে গ্রেফতার করে তদন্তকারীরা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও একজনের খোঁজ চালানো হচ্ছে।