এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়েছিলেন অর্জুন চৌরাসিয়া, ঋণ লক্ষাধিক টাকা

নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তর কলকাতার কাশিপুরে বিজেপির যুবনেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার(Arjun Chowrasia) মৃত্যুর ঘটনায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্যে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের(Amit Shah) বঙ্গ সফরকালে অর্জুনের সেই মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) বিরুদ্ধে রে রে করে মাঠে নেমে পড়েছিল বঙ্গ বিজেপি(BJP)। তাঁদের অভিযোগ ছিল অর্জুনকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর তা করেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সেই দাবিতে ভেসেছিলেন খোদ অমিত শাহও। কাশীপুরে গিয়ে অর্জুনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সেখানে দাঁড়িয়েই তিনি সিবিআই(CBI) তদন্তের দাবি তোলেন। এরই পাশাপাশি রাজ্য সরকারের কোনও হাসপাতাল বা চিকিৎসককে তাঁরা বিশ্বাস করছেন না এমন দাবি জানিয়ে কেন্দ্রের অধীনস্থ কোনও হাসপাতালে অর্জুনের দেহের ময়নাতদন্তের দাবিও করে বিজেপি ও অর্জুনের পরিবার। তার জেরেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই ময়নাতদন্ত হয় আলিপুরের ইস্টার্ন কম্যান্ড হাসপাতলে। যদিও সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যার তত্ত্বকেই সায় দেওয়া হয়েছে যা মুখ পুড়িয়েছে বিজেপির, অমিত শাহের এবং অবশ্যই অর্জুনের নিকটজনদের। এখন সেই অর্জুনের মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে উঠে এল আরও এক বিস্ফোরক তথ্য।

সম্প্রতি রাজ্য সরকার দ্বারস্থ হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের। এর কারণ ছিল অর্জুনের ময়নাতদন্ত হয়েছিল যে ইস্টার্ন কম্যান্ড হাসপাতালে, সেখানকার কর্তৃপক্ষ কিছুতেই রাজ্য সরকারের হাতে অর্জুনের জামা, প্যান্ট, জুতো ও অন্য সামগ্রী তুলে দিচ্ছিল না। শেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরে গতকাল কম্যান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই সব জিনিস তুলে দেয় রাজ্য সরকারের হাতে। আর সেখনেই অর্জুনের জামার বুক পকেটে ৫০০ টাকা পাওয়া যায়। যদিও সেই টাকা অর্জুনের মৃত্যুর দিনই দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। অর্জুনের পরিবারের দাবি ছিল, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা অর্জুনকে খুন করে তাঁর কাছে থাকা বেতনের টাকাও নিয়ে নিয়েছে। যদিও ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যেমন আত্মহত্যার তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা পেয়েছে তেমনি ফরেনসিক চিত্রগ্রহণে উঠে এসেছে অর্জুনের আত্মঘাতী হওয়ার বেশ কিছু প্রমাণ। সেই সব প্রমাণ সহযোগে অর্জুনের মৃত্যুর তদন্তের জন্য রাজ্য সরকারের গঠিত ‘স্পেশ্যাল ইনভেস্টিগেটিং টিম’ বা সিটের সদস্যরা তদন্তে নামেন। আর সেই তদন্তেউ উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য যা অস্বীকার করতে পারেননি অর্জুনের মা, দাদা ও ভাই।

সিটের সদস্যরা অর্জুনের বেশ কিছু বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারেন, বিগত কয়েক মাস ধরে অনলাইন জুয়া খেলায়(Online Bate) চূ্ড়ান্ত আসক্ত হয়ে পড়েছিল অর্জুন। বিষয়টি অর্জুনের বন্ধুবান্ধবরা জানতে পারলে তাঁরাও বারণ করেছিল। কিন্তু সেই আসক্তি এমন জায়গায় ছিল যে, শুধু ওই খেলার জন্য লক্ষাধিক টাকা ঋণ নিয়েছিল অর্জুন। সেই ঋণের চাপ এসে পড়েছিল পরিবারের ওপর। গত তিন মাস ধরে এই বিষয়টি নিয়েও অর্জুনের পরিবারে চলছিল অশান্তি। প্রতিবেশীদের কেউ কেউও অর্জুনকে বকাবকি করেছিল এই জুয়া খেলা নিয়ে। অর্জুন কাজ করত যে গেঞ্জি তৈরির কারখানায় সেখানেই সুপারভাইজার হিসাবে কাজ করেন অর্জুনের দাদাও। ঘটনার দিন তিনিই অর্জুনের হাতে বেতন বাবদ ১১ হাজার ১০০ টাকা তুলে দেন। কিন্তু সেই বেতন হাতে পেতেই অর্জুন কারখানা থেকে সোজা চলে যায় উত্তর কলকাতার হাতিবাগান এলাকায় অনলাইনে জুয়া খেলতে। আর সেখানে সেদিনই সে সাড়ে ১০ হাজার টাকা হেরে বসেছিল। আর তাই সেখান থেকে বাড়িতে ফিরে পরিবারের হাতে একতাকাও দিতে পারেনি সে। খালি চুপচাপ নিজের টিফিন বক্সটা রেখে নিজের গামছা নিয়ে বেড়িয়ে গিয়েছিল সে। সে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি সে। পরের দিন সকালে বাড়ির অদূরে রেলের একটি পরিত্যক্ত কোয়ার্টারে মেলে তার ঝুলন্ত দেহ। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, এত কিছু জেনেও কেন অর্জুনের পরিবার লুকিয়ে গেল? কেনইবা মিথ্যা খুনের অভিযোগ তুলল? আর কেনই বা অর্জুনের মা মাঝরাতে অচেনা গলায় খুন করার হুমকির গপ্পো শোনালেন সবাইকে? নাকি এসব কিছুই বিজেপির পরামর্শে করা হচ্ছিল!

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মানিকতলায় বহুতলে রবিবার রাতে ভয়ংকর আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ৫টি ইঞ্জিন

ফুসফুসের মধ্যে নাকছাবির অংশ, বের করতে সফল চিকিৎসক

ভাঙড়ে রবিবার দুপুরে প্লাস্টিক কারখানায় বিধ্বংস আগুন, এলাকায় আতঙ্ক

আগামী ৫ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর

ভোটের কাজে এবার নেওয়া হচ্ছে স্কুলবাসও

প্রতিপক্ষের নাম ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’, হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে বিরোধীরা

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর