নিজস্ব প্রতিনিধি: নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হলেন এক মৎসজীবী। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার রায়দিঘির কঙ্কনদিঘি এলাকায়। তাঁর খোঁজে সোমবারের পরও মঙ্গলবার চলছে তল্লাশি। মৎসজীবীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়।
অভাব অনটনের সংসারে পেটের ভাত জোগাতে সুন্দরবন অঞ্চলের বহু মানুষের ভরসা নদীর মাছ। রুটি রুজির সংস্থান করতে বেছে নেন মৎসজীবীর পেশা। আর পেশার টানে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে সুন্দরবনের মৎসজীবীরা কখনও বাঘের আক্রমণের মুখে পড়েন তো কখনও কুমিরের হানায় জখম হয়ে প্রাণ হারান। এবারও মাছ ধরতে গিয়ে এক মৎসজীবীর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘটল। পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে জলের তোড়ে ওই মৎসজীবী তলিয়ে গিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ হওয়া ওই মৎসজীবী সোমবার মণি নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজন মৎসজীবী নদীতে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার সময় তাঁদের মধ্যে থেকে অসিত সর্দার নামে ওই মৎসজীবী নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে খোঁজাখুঁজি করার পরেও কোনও সন্ধান পাননি। এর পর ঘটনার খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ অসিতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি অন্যান্য মৎসজীবীদের সঙ্গেও কথা বলেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে তদন্তকারীরা। সোমবার তল্লাশি চালানোর পরও তাঁর কোনও খোঁজ মেলেনি। সোমবারের পর মঙ্গলবারও নিখোঁজ মৎস্যজীবীর খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে বেড়েছিল মণি নদীর জলের তোড়। আর সেই জলের তোড়ে তলিয়ে যান অসিত সর্দার। তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। কী ভাবে জুটবে রুজি রুটি তা নিয়ে চিন্তায় তাঁর পরিবার।