নিজস্ব প্রতিনিধি: বাংলার কিছু বাছাই করা এলাকায় সোমবার থেকে ফের শুরু হল ‘দুয়ারে সরকার’(Duyare Sarkar) কর্মসূচি। চলবে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। রাজ্যের প্রান্তিক এলাকাগুলিতে এই বিশেষ ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি খোলার জন্য নবান্ন(Nabanna) থেকে জেলা প্রশাসনগুলিকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছিল। তার জেরেই এদিন থেকে এই বিশেষ কর্মসূচি শুরু করা হয়েছে। মূলত আদিবাসী ও তফসিলি জাতির মানুষের কাছে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই বিশেষ কর্মসূচি শুরু করা হল। গত ২১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত রাজ্যব্যাপী দুয়ারে সরকারের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। তারপরেও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খবর এসেছিল রাজ্যের প্রান্তিক এলাকাগুলিতে সরকারি পরিষেবা ও বিভিন্ন সুবিধা পৌঁছনোর ক্ষেত্রে কিছু খামতি এখনও রয়ে গিয়েছে। তাই এই বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। জঙ্গলমহল, সুন্দরবন(Sundarban), তরাই-ডুয়ার্সের পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষদের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়াই এই কর্মসূচির লক্ষ্য। সুন্দরবনেও সেই সূত্রেই ভ্রাম্যমান লঞ্চে করে এই কর্মসূচি চালানো হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিন টানা নয়, প্রতি সপ্তাহে ৪দিন করে এই শিবিরের দেখা পাবেন সুন্দরবন সহ জঙ্গলমহল ও তরাই-ডুয়ার্সের মানুষেরা। সড়কপথে ভ্রাম্যমান গাড়িতে করে এই পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে আর সুন্দরবনের মতো এলাকাতে চলছে লঞ্চে করে পরিষেবা প্রদানের কাজ। লঞ্চে চেপেই সুন্দরবনের দ্বীপাঞ্চলগুলির মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন সরকারি আধিকারিকরা। দুয়ারের সরকারের এই বিশেষ শিবিরের মাধ্যমে মোট ১৪টি সরকারি পরিষেবা ও প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে মানুষের কাছে। বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে জমির মিউটেশনের(Mutation) উপর। কৃষকবন্ধু প্রকল্প চালু হওয়ার পর জমির নথিতে নাম পরিবর্তনের জন্য মিউটেশন করার প্রবণতা অনেক বেড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে কৃষকবন্ধু(Krishak Bandhu), স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-সহ বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য আবেদন নেওয়াও হচ্ছে এই কর্মসূচির মাধ্যমে। যেহেতু এবছরের শেষ দিকে রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে তাই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রতিটি পরিবারের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে বধ্যপরিকর। সেই সূত্রেই এখন রাজ্যের বিশেষ কিছু এলাকায় ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচি চালু করার আবারও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।