নিজস্ব প্রতিনিধি: নার্সিং স্টাফ গ্রেড টু পদে যোগ দিলেন রেণু খাতুন। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে তিনি কাজে যোগ দেন। কাজে যোগ দিয়ে আরও একবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের চিনিসপুরের বাসিন্দা রেণু খাতুন।
সরকারি চাকরি পাওয়ার পর স্বামী ডান হাত কেটে নিয়েছিল রেণু খাতুনের। নার্সিং চাকরি পাওয়া রেণু খাতুন তাতেও দমে যাননি। কাটা হাত নিয়ে হাসপাতালের বেডে শুয়ে বাম হাতে শুরু করেছিলেন লেখার চেষ্টা। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন রেণু খাতুনকে তাঁর উপযোগী চাকরি দেবে রাজ্য সরকার। সেই মত তাঁর হাতে চাকরির নিয়োগপত্র পৌঁছে দেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদ এবং পূর্ব বর্ধমানের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায়। অবশেষে হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার আট দিনের মাথায় সেই চাকরিতে যোগ দিলেন রেণু খাতুন।
এদিন নতুন ভাকরিতে যোগ দিয়ে রেণু খাতুন জানান, নিষ্ঠার সঙ্গে কাজও করবেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করারও ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রেণু খাতুন। অন্যদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ভবন থেকে নতুন কোনও নির্দেশ না আসা পর্যন্ত রেণু জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দফতরে কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামের চিনিসপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হকের মেয়ে রেণু খাতুন। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে রেণুর সঙ্গে বিয়ে হয় কোজলসার শেখ মহম্মদের। রেণু বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নার্সিংয়ের কাজ করতেন। এর পর সরকারি নার্স নিয়োগ পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন। সেই চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে গত ৪ জুন স্বামী শেখ মহম্মদ রেণুর ডান হাতের কবজি থেকে কেটে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। যদিও পরে ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত স্বামী-সহ একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত চাকরিতে যোগ দিলেন রেণু খাতুন।