নিজস্ব প্রতিনিধি: মাত্র ৭ বছরের শিশু। গত বুধবার দুপুরবেলা বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল সে। হাজার খুঁজেও মেলেনি তার সন্ধান। বৃহস্পতিবার সেই শিশুর পরিবার দ্বারস্থ হয় পুলিশের। দায়ের হয় নিখোঁজ সংক্রান্ত অভিযোগ। কিন্তু তারপরেও তার কোনও সন্ধান মিলছিল না। থানায় গেলেই শুনতে হচ্ছিল তদন্ত চলছে। অথচ যে এলাকা থেকে শিশুটি নিখোঁজ হয়েছিল সেখানে পুলিশের কোনও আধিকারিক তদন্ত করতে আসেননি এই কয়দিনে। করেননি কাউকে জিজ্ঞাসাবাদও। এরই মধ্যে রবিবার সকালে বাড়ির অদূরেই মিলল সেই নিখোঁজ শিশুর ক্ষতবিক্ষত দেহ। আর এই ঘটনাকে ঘিরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল পশ্চিম বর্ধমান(Paschim Burdhwan) জেলার দুর্গাপুর(Durgapur) মহকুমার অন্ডাল(Andal) থানার রেল কলোনি এলাকা।
জানা গিয়েছে, গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিল ৭ বছরের শিশু(Child) সৌরভ বাউড়ি। বুধবার দুপুর ৩টে নাগাদ সে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। সেদিন সারারাত খোঁজাখুঁজির পরও তার সন্ধান না পাওয়ায় তার পরদিন অন্ডাল থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন তার পরিবারের লোকেরা। কিন্তু সেই অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও পুলিশকে এই ঘটনার তদন্তে নামতে দেখেননি এলাকাবাসী। তার জেরেই পুলিশের বিরুদ্ধে গড়িমসি করার অভিযোগ উঠেছিল। দানা বাঁধছিল ক্ষোভও। রবিবার সকালে সেই ক্ষোভই গণবিক্ষোভের রূপান্তরিত হল সেই শিশুর ক্ষতবিক্ষত দেহ বাড়ি থেকে আনুমানিক ৬০ থেকে ৭০ মিটার দূরে একটি জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারাই এদিন সকালে দেহটি দেখতে পেয়ে খবর দেয় পুলিশকে। যদিও দেহের পচন শুরু হয়ে যাওয়ায় মনে করা হচ্ছে শনিবার এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। অন্যত্র খুন(Murder) করে দেহ ওই জঙ্গলে ফেলে যাওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারনা।
এদিন সকালে দেহ উদ্ধারের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা তখন পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি দেহ তুলতে বাধাও দেয়। পরে তাঁরা বিক্ষোভ দেখান অণ্ডাল থানাতেও। যদিও পুলিশ তাঁদের বুঝিয়েসুঝিয়ে দেহ উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠাতে সক্ষম হয়। পুলিশের দাবি, ঠিক কী কারনে এই শিশুর মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলেই বোঝা যাবে। তব এই ঘটনার সঙ্গে শিশুটির পরিবারের সঙ্গে আততায়ীর পুরাতন বিবাদের যোগ থাকতে পারে। চেনা পরিচিত কোনও লোকই এই খুনের ঘটনায় জড়িত বলে মনে করা হচ্ছে। শিশুটিকে যৌন নির্যাতন করা হয়েছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।