নিজস্ব প্রতিনিধি, ঢাকা: ২০২১ সালে কুমিল্লার এক পুজোমণ্ডপে কোরান রাখার অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা বাংলাদেশ। কোরান অবমাননার অভিযোগ এনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে নির্বিচারে হামলা চালিয়েছিল মুসলিম মৌলবাদীরা। দুষ্কৃতীদের আক্রমণে প্রাণ হারাতে হয়েছিল বেশ কয়েকজন হিন্দুকে। গোটা বিশ্বে মুখ পুড়েছিল শেখ হাসিনা সরকারের। ঘটনার ১৬ মাস বাদে কুমিল্লার পুজোমণ্ডপে কোরান রেখে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া মামলায় ইকবাল হোসেন নামে এক যুবককে ১৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এই সাজা শুনিয়েছেন। যেহেতু ১৬ মাস জেলে রয়েছেন ইকবাল তাই তাঁকে বাড়তি সাজা খাটতে হবে না।
২০২১ সালের ১৩ অক্টোবর দুর্গাপুজোর সময়ে কুমিল্লা শহরের নানুয়া দীঘির পাড়ে একটি পুজোমণ্ডপে ‘কোরআন অবমাননার’ অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা-ভাঙচুর চালায় মুসলিম মৌলবাদীরা। পরে সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ইকবাল হোসেন নামে এক মুসলিম যুবক নানুয়া দিঘির ওই পুজোমণ্ডপে থাকা হনুমানের মূর্তির কোলে মুসলমানদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন রেখে বজরঙ্গবলীর হাতে থাকা গদা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
এদিন আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি আমার দোষ স্বীকার করছি। আমি অনুতপ্ত। আমি আর অপরাধ করব না।’ এর পরেই বিচারক সাজা ঘোষণা করতে গিয়ে দোষী ইকবাল হোসেনকে ১৬ মাসের কারাদণ্ডের সাজা শোনান।